শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

দিশেহারা স্বল্পআয়ের ক্রেতা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০১ এএম

১৬০ টাকা লিটারে সয়াবিন তেল কিনতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে স্বল্প আয়ের মানুষ। মাছ-মাংসের দামও নাগালের বাইরে। সবজির বাজারও উর্ধ্বমুখী। তবে কিছুটা স্বস্তি এসেছে পেঁয়াজের বাজারে। আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দামে। বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকা। গত সপ্তাহে ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজের দর ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। মিয়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজ আরো কম দামে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
৬ অক্টোবর আমদানি করা পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে যা তার আগের সপ্তাহে ৭০ থেকে ৮০ টাকা ছিল। আর দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হয় যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। দাম স্বাভাবিক রাখতে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি বাড়িয়েছে টিসিবি। তবে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা টিসিবির বড় আকারের এসব পেঁয়াজের প্রতি আগ্রহ নেই খোলা বাজারে সয়াবিন তেল, চিনি, মশুর ডাল কিনতে আসা বেশিরভাগ ক্রেতার।
সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে দাম না বাড়লেও রাজধানীর বাজারগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। সেই সঙ্গে মুরগির দাম নিয়ে অস্বস্তিতো রয়েই গেছে। ফলে সবজি ও মুরগির দাম নিম্ন আয়ের মানুষদের বেশ ভোগাচ্ছে। এমন কী কেউ কেউ অভিযোগ করছেন ব্রয়লার মুরগির অস্বাভাবিক দামের কারণে তারা খাবার তালিকা থেকে আপাতত মাংস বাদ দিয়েছেন। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা। পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা। আর লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
মুরগির পাশাপাশি সবজির দামও বেশ ভোগাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আগের মতই সব থেকে বেশি দামে বিক্রি করছেন গাজর ও টমেটো। মান ভেদে এক কেজি গাজর ১০০ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এই সবজি দুটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এই দুই সবজির পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য সবজি। শীতের আগাম সবজি শিম গত সপ্তাহের মতো কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা। ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ছোট ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে খুব একটা হেরফের হয়নি।
এছাড়া চিচিঙ্গা, বরবটি, ঢেঁড়স, পটল, করলার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়সের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে, বরবটির কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লালশাকের আঁটি ১০ থেকে ২০ টাকা, মুলাশাকের আঁটি ১৫ থেকে ২০ টাক, কলমিশাকের আঁটি ৫ থেকে ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন