শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নাকুগাঁও স্থলবন্দরে বোমা বিস্ফোরণে কিশোর পাথর শ্রমিক আহত

শেরপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২১, ৭:৫৬ এএম | আপডেট : ১০:০৫ এএম, ২৩ অক্টোবর, ২০২১

শেরপুরের নালিতাবাড়ীর সীমান্তবর্তী নাকুগাঁও স্থলবন্দরে বোমা বিস্ফোরণে এক কিশোর পাথর শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছে । ধারনা করা হচ্ছে পাথর ভাঙার বোমায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত ওই শ্রমিক নালিতাবাড়ী উপজেলার উত্তর কাপাশিয়া গ্রামের চাঁন মিয়া ছেলে রনি (১৪)।

রনির নানী পাথর শ্রমিক হরবলা জানান, শেরপুরের নালিতাবাড়ীর সীমান্তবর্তী নাকুগাঁও স্থলবন্দরে পাথর শ্রমিকের কাজ করে আসছে চৌদ্দ বছর বয়সী রনি। শুক্রবার স্থলবন্দরের পাথর কোয়ারিতে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পাথরের মাঝে ছোট একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মতো কিছু একটা পেয়ে কৌতুহলবশত হাতে নেয় সে। পরে বন্দরের কাছেই ভাড়ায় নেওয়া ঘরে যায় রনি। পরে সেটিকে নাড়া চাড়া করে এক পর্যায়ে ডিভাইসে লাগানো দুটি ক্যাবল একসাথে লাগানোর চেষ্টা করলে সেটি বিস্ফোরিত হয়। এতে গুরুতর আহত হয় এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় কিশোর রনি। এ অবস্থায় রনির নানী পাথর শ্রমিক হরবলা তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন।

কিন্তু পরবর্তীতে রনির শারিরিক অবস্থা আরো খারাপ হলে রাত নয়টার দিকে তাকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রনিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আহত রনির বাবা চাঁন মিয়া জানায়, সম্ভবত পাথর ভাঙার বোমাটি কোন কারণে পাথর খনিতে অবিস্ফোরিত রয়ে যায়। পরবর্তীতে ভুটান থেকে পাথর আমদানীর সময় পাথরের সাথে মিশে বোমাটি নাকুগাঁও বন্দরে চলে আসতে পারে। তবে পরীক্ষা নীরিক্ষা ছাড়া কিছুই বরা যাবে না।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মামুন জানান, বাম হাত ও পায়ে বেশি জখম হয়েছে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত হয়েছে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহাম্মেদ বাদল রাত সাড়ে বারােটার সময় জানান, তবে ধারনা করা হচ্ছে পাথর ভাঙ্গা বোমা দিয়েই এ ঘটনা ঘটতে পারে। এটা পরীক্ষা ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে আসলে এটা কি ?

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন