সিলেটে ছাত্রলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম রাহাত খুনের ঘটনায় দায়ের করা হয়েছে মামলা। গতকাল শুক্রবার রাতে তার চাচা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলা নয়-২১/২২/১০/২১। মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসর ইনচার্জ (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদার। তিনি গন মাধ্যমকে বলেন, মামলার বাদী হয়েছেন ‘রাহাতের চাচা। মামলায় ৩ জনের নামোল্লেখ ও ৫-৭ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে করা হয়েছে আসামি। আসামিদের গ্রেফতারে চলছে অভিযান। এক্ষেত্রে প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।’
একটি সূত্র বলেছে, মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানা এলাকার সিলাম পশ্চিমপাড়ার আব্দুস সালামের পূত্র সামসুদ্দোহা সাদী (২০)। অপর দুই আসামি হলেন একই এলাকার জামাল মিয়ার পূত্র তানভীর আহমদ (১৯) ও দক্ষিণ সুরমার তেতলি ইউনিয়নের আহমদপুর গ্রামের মৃত গৌছ মিয়ার পূত্র তানভীর আহমদ সানী। এদের মধ্যে সাদী ছাত্রলীগের কর্মী। তিনি সিলেট ছাত্রলীগের কাশ্মীর গ্রুপের সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। দক্ষিণ সুরমা কলেজের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। কলেজে অধ্যয়নকালীন একবার বহিষ্কারও করা হয় তাকে। বাকি দুজনও ছাত্রলীগের সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা গেছে, আরিফুল ইসলাম রাহাত (১৮) প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার উদ্দেশে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন। এসময় তার সঙ্গে মোটরসাইকেলে ছিলেন চাচাতো ভাই রাফি। যাবার পথে চাচাতো ভাইকে কলেজ গেটে রেখে এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে কলেজ ক্যাম্পাসে যান রাহাত। পরে বের হওয়ার সময় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কলেজের মূল গেট থেকে ২০-২৫ গজ ভেতরে সাদী ও তানভীর সিলভার রঙ্গের একটি পালসার মোটরসাইকেলযোগে পেছন থেকে এসে রাহাতকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে রাহাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন