শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দুই মিনিটেই শেষ কিলিং মিশন

প্রত্যাবাসন ও উত্থান ঠেকাতে মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০১ এএম

উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ হত্যায় কিলিং স্কোয়াডের ৫ অস্ত্রধারী ছিল। যারা মাত্র দুই মিনিটেই মুহিবুল্লাহর হত্যার মিশন শেষ করে পালিয়ে যান। এ হত্যাকাণ্ডে সর্বমোট ১৯ জন কাজ করেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ড পূর্ব পরিকল্পিত ছিল।

গতকাল শনিবার দুপুরে মুহিবুল্লাহর হত্যার কিলিং স্কোয়াডের সদস্য আজিজুল হককে গ্রেফতার ও হত্যার ছক সম্পর্কে জেনে প্রেস ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন, ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাইমুল হক। এর আগে গতকাল শনিবার ভোরে মুহিবুল্লাহ হত্যায় কিলিং মিশনে অংশ নেয়া আজিজুল হককে লাম্বাশিয়া পুলিশ ক্যাম্পের লোহার ব্রিজ এলাকা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে এপিবিএন-১৪ এর সদস্যরা। আজিজুল হকের স্বীকারোক্তিতে সে ছাড়াও হত্যায় সহযোগিতা করা কুতুপালং ক্যাম্প-১ এর ডি ৮ ব্লকের আব্দুল মাবুদের ছেলে মোহাম্মদ রশিদ ওরফে মুরশিদ আমিন ও একই ক্যাম্পের বি ব্লকের ফজল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনাস ও নুর ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুলের স্বীকারোক্তির কথা জানিয়ে ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাইমুল হক বলেন, মুহিবুল্লার হত্যার দুই দিন আগে মরকাজ পাহাড়ে কিলিং মিশনের জন্য বৈঠক করে দুর্বৃত্তরা। সেখান থেকে ১৯ জনকে মিশনে অংশ নেয়ার নির্দেশনা দিয়ে ৫ জনকে সশস্ত্রাবস্থায় পাঠানো হয়।

জিঙ্গাসাবাদে পুলিশকে আজিজুল হক জানিয়েছে, দিন দিন মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের নেতা হিসেবে পরিচিত হচ্ছে। তার উত্থান ও প্রত্যাবাসন ঠেকাতে যেকোন মূল্যে তাকে হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়। সেই নির্দেশনা মতো ২৯ সেপ্টেম্বর এশার নামজের পর বাসায় চলে যাওয়া মুহিবুল্লাহকে বাসা থেকে অফিসে ডাকা হয়। প্রত্যাবাসন বিষয়ে কয়েকজন কথা বলতে ডাকছে বলে বাসা থেকে বের করে আনে গ্রেফতারকৃত আরসা সদস্য মুরশিদ। তারপর বাকিদের সঙ্কেত দিয়ে সে অফিস থেকে চলে যায়।

নাইমুল হক আরও জানান, সশস্ত্র টিম অফিসে ঢুকে একজন মুহিবুল্লাহকে বলে উঠ তোর সাথে কথা আছে। বসা থেকে উঠতেই প্রথমজন একটি, তার পরেরজন দুইটিসহ চারটি গুলি করে মুহিবুল্লাহকে। তারপর মুহিবুল্লার বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যায় স্কোয়াডের ৫ জন। পরে সবাই সতর্ক হয়ে যায়। বিভিন্নজনের ওপর দোষ চাপাতে থাকে।

হত্যায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং যেকোন সময় তারা গ্রেফতার হতে পারে বলে জানান এপিবিএনের এ কর্মকর্তা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ অজ্ঞাত নামা ১৫-২০ জনকে আসামি করে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Hefaju ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ৭:০০ এএম says : 0
· তদন্ত সাপেক্ষে সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। এদের কারণে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
Total Reply(0)
Sheikh Munir Hasan Mitu ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ৭:০০ এএম says : 0
We want justice
Total Reply(0)
Paresh Mondal ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ৭:০১ এএম says : 0
ব‌্যবস্থা এটাই ক‌রেন যে‌নো র‌হিঙ্গা প্রত‌্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
Total Reply(0)
মনিরুল ইসলাম ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ৭:০৩ এএম says : 0
এখানে ভারতের সম্পৃক্ততা আছে কিনা খুঁজে বের করতে হবে।
Total Reply(0)
সৈকত ফকির ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ৭:০৩ এএম says : 0
মিয়ানমারের হাত থাকাটা স্বাভাবিক। প্রশাসনকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন