শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাজউকের ঢিলেমিতে উন্নয়নে বাধা

গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক হবে বিশ্বমানের পরিকল্পনা কমিশনের চিঠির জবাব ১১ মাসেও দেয়নি

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০১ এএম

হাতিরঝিল লেক রাজধানী ঢাকার ভ্রমণপিপাসুদের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছে। ইট-পাথরের রাজধানীতে বসবাস করে যারা বিকেলে প্রাকৃতির সৌন্দর্য উপভোগের জন্য মুখিয়ে থাকেন, তাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে হাতিরঝিল। নগরবাসীর প্রত্যাশা বুঝতে পারে সরকার, রাজধানীবাসীকে হাতিরঝিল লেকের চেয়েও দৃষ্টিনন্দন লেক গড়ে তুলতে চায় রাজধানীর গুলশান-বনানী ও বারিধারায়। বিশ্বমানের লেক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু রাজউকের ফাইল লালফিতায় বন্দি, নীতিতে আটকে গেছে সরকারি উদ্যোগ। এতে একদিকে লেক পাড়ের স্থানীয় জমির মালিকরা বিক্ষুব্ধ।

জানা গেছে, গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন প্রকল্পের সংশোধিত প্রস্তাব দ্রুত দেয়ার কথা জানিয়ে পরিকল্পনা কমিশন ১১ মাস আগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চিঠি দিয়েছে। অথচ এই দীর্ঘদিনেও সংশোধিত নকশাসহ প্রস্তাব দিতে পারেনি রাজউক। সরকার উন্নয়ন প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন করতে চায় অথচ রাজউকের ঢিলেমিতে তা সম্ভব হচ্ছে না।

দেড় যুগেরও বেশি সময় আগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এই লেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৩ সালে, কিন্তু তা হয়নি। এরপর প্রকল্পে মেয়াদ চারবার বাড়ানো হয়েছে। তবুও এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়নি। সর্বশেষ পঞ্চমবারের মতো প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি বছরের মে মাসে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের সভাপতিত্ব রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আওতাভুক্ত লেক ও খাল উন্নয়ন প্রকল্পের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় গুলশান-বনানী এবং বারিধারা লেক উন্নয়ন প্রকল্পের সংশোধিত প্রস্তাব দ্রুত পরিকল্পনা কমিশনে পাঠাতে নিদেশনা দেয়া হয়। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সংশোধিত নকশাসহ প্রস্তাব দিতে পারেনি বলে জানা গেছে।

প্রকল্পের পরিচালক সাবের হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, গুলশান-বনানী এবং বারিধারা লেক উন্নয়ন প্রকল্পের সংশোধিত প্রস্তাব দ্রুত পরিকল্পনা কমিশনে পাঠাতে নির্দেশনা দিয়েছিল। তখন করোনার কারণে পাঠানো হয়নি। বর্তমানে সংশোধিত নকশাসহ বিভিন্ন কাজ চলছে। যে কোনো সময় পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে।
এ প্রসঙ্গে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার ইনকিলাবকে বলেন, গুলশান-বনানী-বারিধারার লেকর প্রকল্পের সংশোধনের প্রস্তাব আমরা একনেকে পাঠাব।

রাজধানীর গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকায় লেকের জমি অধিগ্রহণ, লেক খনন ও উন্নয়ন, ওয়াকওয়ে, কজওয়ে, ড্রাইভওয়ে নির্মাণ দেখিয়ে ৪১০ কোটি ২৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা লটুপাট করে নেয়া হয়েছে। অথচ এসব কাজ করাই হয়নি। প্রকল্পের পিডির গাফিলতির কারণে লেক উন্নয়ন প্রকল্পে বেহাল দশা বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। এদিকে রাজউকের তৈরি করা উন্নয়ন প্রকল্প দখল নিতে মরিয়া হয়ে পড়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন প্রকল্পে চিঠি চালাচালি চলছে। প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় দশবার চিঠি দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে। আর রাজউক থেকে জবাব আসে একবার। এছাড়া দুই বছর আগে একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশনা মানছে না গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং প্রকল্পের পরিচালক। প্রকল্পগুলোর ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

এদিকে গুলশান-বনানী-বারিধারার লেক উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের ওপর রাজউকের বোর্ড সভার মতামতসহ প্রস্তাব এ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য রাজউক চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সেই প্রস্তাব এখনো পায়নি মন্ত্রণালয় বলে জানা গেছে। গতবছর জমি অধিগ্রহণের টাকা চেয়ে রাউজক চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক। সে টাকা এখনো পায়নি বলে ডিসি অফিস সূত্রে জানা গেছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ইনকিলাবকে বলেন, প্রকল্প পরিচালকদের লাখ লাখ টাকা দামের গাড়ি দেয়া হয় হাওরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য। কিন্তু আপনি যদি সেই গাড়িতে চড়ে গুলশান-বনানী ঘুরে বেড়ান, তাহলে কেমন করে প্রকল্প বাস্তবায়ন বৃদ্ধি পাবে? পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জনগণের টাকায় গাড়ি কেনা হচ্ছে। সেই গাড়ি থাকছে ঢাকায়। কিন্তু কাজ গ্রামে। এটা অদ্ভুত বিষয়। হাওরে প্রকল্প হচ্ছে; কিন্তু আমি জানি না। জনগণ জানতে চায়, আমাদের জবাবদিহি করতে হয়। তাই পারস্পরিক দোষারোপ না করে, আসুন সবাই মিলে প্রকল্প বাস্তবায়নে মনোযোগ দিই। রাজউকের অনেক প্রকল্প হচ্ছেÑ সেগুলোর পরিকল্পনা কমিশনে তথ্য নেই। সে জন্য আমরা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। রাজউকের একজন কর্মকর্তা একাধিক প্রকল্পের পরিচালক পদে রয়েছেন। এ বিষয়গুলোর তথ্য চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রাজউকের চেয়ারম্যান এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী ইনকিলাবকে বলেন, এমন সময় জানালেন, তখন আমি রাজউকে থাকছি না। কি কারণে প্রকল্পের কাজ দেরি হয়েছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রকল্পের আকার ৪১০ কোটি ২৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৪ হাজার ৮৮৬ কোটি ১১ লাখ ৩২ হাজার টাকা করা হয় এবং প্রায় ৭ মাস আগে প্রকল্পের সংশোধিত নকশাসহ প্রস্তাব এরই মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে। কিন্তু এর কোনো সংশোধিত নকশাসহ প্রস্তাব আর যাচ্ছে না রাজউক থেকে।

গুলশান, বনানী এবং বারিধারা এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে লেক আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে রাজউক। প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৩ সালে, কিন্তু তা হয়নি। এরপর খরচ বাড়ানো ছাড়া মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে চারবার। তবুও এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। সর্বশেষ পঞ্চমবারের মতো প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

অদক্ষতা ও গাফিলতির জন্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বেহাল দশা শুরু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, রাজধানীর গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন প্রকল্প এক নম্বরে। এ প্রকল্পের সাবেক পরিচালক আমিনুর রহমান একাই রাজউকের ৩-৪টি প্রকল্পের পরিচালক। তিনি একটি প্রকল্পের তিন ভাগ টাকা তুলে নিয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না করে নতুন করে অন্য প্রকল্পের কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়. রাজধানীর গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন প্রকল্প ৪১০ কোটি ২৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। মোট প্রকল্পের ব্যয়ের বিপরিদে ৭৪ দশমিক ৬১ শতাংশ দেখানো হয়েছে। প্রকল্পের মোট বাস্তব অগ্রগতি ভৌত খাতে ৭৫ শতাংশ এবং আর্থিক খাতে ৭৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতিতে বলা হয়েছে রাজধানীর গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকায় লেকের জমি অধিগ্রহণ, লেক খনন ও উন্নয়ন, ওয়াকওয়ে, কজওয়ে, ড্রাইভওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে তা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ গত বছর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মহাপরিচালক, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সচিব মো, তোফাজ্জল হোসেন মিয়া প্রকল্প এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন প্রকল্পের তেমন অগ্রগতি দেখতে পাননি। অথচ কাজ না করে, রাজধানীর গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকায় লেকের জমি অধিগ্রহণ, লেক খনন ও উন্নয়ন, ওয়াকওয়ে, কজওয়ে, ড্রাইভওয়ে নির্মাণ ব্যয় দেখিয়ে ৪১ কোটি টাকা প্রকল্পের নামে তুলে নেয়া হয়েছে। এখনো জমির মালিকরা জমি অধিগ্রহণের টাকা পায়নি অথচ প্রকল্পের প্রতিবেদনে টাকা দেয়ার কথা উল্লেখ করা হযেছে। কি কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হচ্ছে। এ খবরে বলা হয়েছে আরডিপিপি অনুমোদন বিলম্ব, মামলাজনিত কারণে বিলম্ব হচ্ছে। মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুনর্গঠিত সংশোধিত ও ডিপিপি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

রাজউকের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালকদের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গুলশান-বনানী-বারিধারার লেক উন্নয়ন প্রকল্পে পরিচালক আমিনুর রহমান উত্তরা লেক উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ও তিনি। কুড়িল-পূর্বাচল লিংক উভয় পার্শ্বের ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন প্রকল্পের পিডি এমএস এহসান জামিল, আরমান রিজিলেন্স প্রজেষ্টের পিডি আবদুল লতিফ হেলালী, হাতিরঝিল প্রকল্পের দূষিত পানি ও পরিশোধন প্রকল্পের পিডি এএসএম রায়হানুল, মাদানী এভিনিউ থেকে বালু নদী পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের পিডি এমএস এহসান জামিল, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের পরিচালক উজ্জ্বল মল্লিক, উত্তরা ১৮নং সেক্টরে নিম্ন ও মধ্যমআয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য অ্যাপার্টমেন্ট ভবন নির্মাণ প্রকল্পের পিডি মো. মুজাফফর উদ্দিন, ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্প এলাকায় আবাসিক ও বাণিজ্যিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি মো. নুরুল ইসলাম, ঢাকা, গুলশান, মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া ও ধানমন্ডি এলাকায় ৯টি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন নির্মাণ প্রকল্পের পিডি রাহাত মুসলেমীন দায়িত্বে রয়েছেন। তবে তাদের প্রতিবেদনে এক জায়গায় মিল রয়েছে, সেটি হচ্ছে- জমি অধিগ্রহণ ও মামলাজনিত সমস্যা।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রধান মো. বরকাতুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন গুলশান-বনানী-বারিধারার লেক উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের উপর রাজউকের বোর্ড সভার মতামতসহ প্রস্তাব এ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো।

গত ১১ আগস্ট তারিখে একনেক সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভা সিদ্ধান্তের প্রকল্প এলাকায় কড়াইল বস্তি উচ্ছেদ বসবাসরত মানুষের সংখ্যা, পুনর্বাসন পরিকল্পনা সংক্রান্ত বিষয়ে সম্ভাব্যতা সমীক্ষাসম্পন্ন করা হয়েছে। আবারো মন্ত্রণালয় থেকে একই চিঠি দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের, পুনর্বাসন, পরিবেশগত, সামাজিক, কারিগরি এবং অর্থনৈতিক বিশ্লেষণসহ বিস্তারিত সমীক্ষা চাওয়া হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় প্রকল্পে এলাকায় বড়াইল বস্তি পড়েছে কি-না তা জানতে চান। কিন্তু তখন সাবেক চেয়ারম্যান কিছুই বলতে পারেনি। সে কারণে বারবার চিঠি দেয়া হচ্ছে- পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিকল্পনা কমিশনের এক সদস্য বলেন, গুলশান-বনানী-বারিধারা লেকের কাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ তথ্য জানতে পেয়ে রাজউকের কর্মকর্তারা বারবার ভুল তথ্য পাঠাচ্ছে। কারণ এ প্রকল্পে সেনাবাহিনী বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিলে, সেখানে কর্মকর্তারা দুর্নীতি করার সুযোগ পাবে না।

প্রকল্প এলাকার বাসিন্দার আল আমিন ইনকিলাবকে বলেন, প্রকল্পের ৪১০ কোটি টাকা প্রকল্পের পরিচালক তুলে নিয়েছে, আর আমরা জমির টাকা পাচ্ছি না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই- এই ধরনের প্রকল্পের পরিচালকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিন। তা না হলে দেশ ও জাতির বড় ক্ষতি হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
Faroque Alam ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ৬:২২ এএম says : 0
রাজউকের সব চেয়ে কমদামী বা সস্তা লোক ও কোটি কোটি টাকার মধ্যে ঘুমায়। কি ভাবে..?
Total Reply(0)
Shertaz Khan ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ৬:২৩ এএম says : 0
রাজউকের উচ্চ কর্মকর্তাদের সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। প্লান পাশ করিয়ে নেয়ার পর অনুমোদিত নক্সা মোতাবেক নির্মাণ কাজ চলছে কিনা, কোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন করা হয়েছে কিনা তা তদারকি করা হয় কিনা তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। ঢাকাকে বসবাসের অনুপযোগী করার জন্য দায়ী একমাত্র রাজউক।
Total Reply(0)
Md Parvas ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ৬:২৪ এএম says : 0
খমতার অপব্যবহার করে জনগনের টাকা মেরে খাওয়া দেশের খতিকরা এটাতো এখন খমতা বানদের নেশা এদের বড় বড় কথাই আছে কাজের ব্যলায় ঠন ঠন
Total Reply(0)
Mohammad Hafiz ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ৬:২৪ এএম says : 0
সে কিন্তু চাইলেই পরিবর্তন শুরু করতে পারেন। এখন যেহেতু বুঝতে পেরেছে ব্যাপারটা সেহেতু দ্রুত পদক্ষেপ নিবে আশা করছি।
Total Reply(0)
Polash Ohid ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ৬:২৪ এএম says : 0
আগে সরকারি চাকুরিজীবী বলতো বেতন সুযোগ সুবিধা কম কিন্তু বর্তমান সময়ে কি কম হয়ে যায় সবকিছু পারফেক্ট তাহলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ নাহয় সামনে মহাবিপদ অপেক্ষা করছে
Total Reply(0)
Rakibul Islam Rakib ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ৬:২৫ এএম says : 0
ঢাকা শহরের দুর্নীতি ও অপকর্মের অন্যতম প্রধান উৎস হলো রাজউক।
Total Reply(0)
Aksho Kuri Zanata ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ৬:২৬ এএম says : 0
নির্দেশনা অমান্য করে কিভাবে গড়ে উঠছে ভবন! ভবনের মালিকের পাশাপাশি রাজউককেও এর দায় নিতে হবে!
Total Reply(0)
Ahamed Abulkhayear Nazir ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ৬:২৭ এএম says : 0
রাজউকের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে পিয়ন পর্যন্ত তাদের সম্পদের হিসাব নেওয়া হউক।
Total Reply(0)
Firoz Prodhan ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ৬:২৭ এএম says : 0
প্রতিষ্ঠান সমূহ কেন ব্যর্থ হয়েছে সেটাও গভীরভাবে চিন্তা করা প্রয়োজন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন