তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়েলু বলেছেন যে, ইউরোপ এবং পশ্চিমারা সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন করে এবং একে শক্তি ও দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে। তুরস্ক এমন একটি দেশ যেখানে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয়। শুক্রবার অর্থ পাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে আন্তঃসরকারি নজরদারি সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সে’স (এফএটিএফ) তার গ্রে লিস্টে পাকিস্তানের সঙ্গে এবার তুরস্ককেও তালিকাভুক্ত করায় এ মন্তব্য করেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এফএটিএফ’র সমালোচনা করে সোয়েলু বলেন, ‘আমরা সবাই জানি যে এই সিদ্ধান্ত কোনও ন্যায়সঙ্গত এবং উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নয়, বরং একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ইউরোপ এবং পশ্চিমই সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন করে এবং একে শক্তি ও দিকনির্দেশনা দেয়। আমাদেরকেই এর মূল্য দিতে হয় ও সংগ্রাম করতে হয়, কিন্তু তারা তুরস্ককেই দায়ী করে।’
শুক্রবার, তুরস্কের ট্রেজারি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ও এর প্রতিবাদ করে বলেছে যে, সন্ত্রাসবাদী নজরদারির সঙ্গে ক্রমাগত সমন্বয় সত্ত্বেও দেশটিকে ‘গ্রে লিস্ট’-এ নামিয়ে আনা একটি অযৌক্তিক ফলাফল তৈরি করেছে। তারা জোর দিয়ে বলে যে, আঙ্কারা এফএটিএফ রিপোর্ট বিবেচনার জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছে। একটি বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি বলে, ‘আমাদের দেশ ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০-এ একটি আইন প্রবর্তন করেছে, যা গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিস্তারকে অর্থায়ন রোধ করে।’ তার আরও বলেছে যে, কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীনও এফএটিএফ-এর মান অনুযায়ী তুরস্ক ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ করেছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার এফএটিএফের প্রেসিডেন্ট মার্কাস প্লেয়ার একটি সয়বাদ বিবৃতিতে বলেন, ‘তুরস্ককে তার ব্যাংকিং এবং রিয়েল এস্টেট সেক্টরে তদারকির গুরুতর সমস্যা এবং সোনা ও মূল্যবান পাথর ব্যবসায়ীদের সাথে মোকাবিলা করতে হবে। তুরস্ককে দেখাতে হবে যে, এটি কার্যকরভাবে জটিল অর্থ পাচার মামলা মোকাবেলা করছে এবং দেখাতে হবে যে, এটি তার ঝুঁকির সাথে সামঞ্জস্য রেখে সন্ত্রাসী অর্থায়নের বিচার করছে এবং আইএস এবং আল কায়েদার মতো জাতিসংঘের মনোনীত সন্ত্রাসী সংগঠনের মামলাগুলিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’ উল্লেখ্য, এফএটিএফ তুরস্কের সাথে মালি এবং জর্ডানকেও তার ‘বর্ধিত পর্যবেক্ষণ তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করেছে। সূত্র: টাইম্স নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন