হল-ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘অনলাইনে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই না।’ গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় বুয়েটের শহীদ মিনারে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মিলে ১ নভেম্বর থেকে হল খোলার দাবিতে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিদফতরের পরিচালক মিজানুর রহমান বরাবর প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, বর্তমানে বুয়েটের ৮০ শতাংশের বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী দুই ডোজ ভ্যাক্সিন গ্রহণ করেছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে তা কেবল ৮০ শতাংশই। শিক্ষার্থীদের মতে এই সংখ্যাটি আরো বড়, কেননা নানাবিধ সমস্যার কারণে অনেক শিক্ষার্থীই এখন পর্যন্ত বিআইআইএস-এর মাধ্যমে নিজের ভ্যাক্সিনেশনের অবস্থা জানাতে পারেনি। অর্থাৎ, বুয়েটের প্রায় সকল শিক্ষার্থীই এখন অন্তত এক ডোজ ভ্যাক্সিন প্রাপ্ত বলে তারা মনে করেন। যেহেতু আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে তাই আবাসিক হল না খুলে ক্লাস শুরু করলে গত সেমিস্টারের মতোই অনেক শিক্ষার্থী ক্লাস করতে অপারগ হবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। তাই যতদ্রুত সম্ভব হল খুলে দেওয়ার দাবি করেন তারা।
এসময় হল খোলার স্বার্থে যদি কোনো শিক্ষার্থীর ভ্যাক্সিন নেয়া বাকি থাকে সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই শিক্ষার্থীর ভ্যাক্সিন নেয়ার ব্যবস্থা করবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, আমরা ২ হাজার ৫০০-এর বেশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্বাক্ষরের মাধ্যমে তাদের মতামত নিয়েছি। সবাই হল খুলে তারপর সেমিস্টার শুরুর ব্যাপারে একমত হয়েছেন। আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি, আশা করি প্রশাসন আমাদের দাবি মেনে নিবে। আমরা সহজ পন্থায় চেষ্টা করছি, কিন্তু আমাদের দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনেও যাবো।
আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘অনলাইনে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই না’, ‘আমাদের হল খুলে দাও’, ‘সারাদেশে অফলাইন, বুয়েট কেন অনলাইন?› ‘অনলাইনে বন্দী থাকবো না’সহ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড দেখা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন