শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ডেন্টালে ভর্তির আশ্বাসে প্রতারণা

জবি শিক্ষার্থী গ্রেফতার

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

ডেন্টালে ভর্তি করে দেয়ার মিথ্যা আশ্বাস ও নগদ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আবু মুসা আসারী নামে একজন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ডিবি ওয়ারী বিভাগ। আবু মুসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী। গত রোববার রাতে গেন্ডারিয়ার নারিন্দা এলাকায় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের ভুয়া ২টি পরিচয়পত্র, একাধিক ভুয়া এনআইডি কার্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রের কপি উদ্ধার জব্দ করা হয়।

ডিবি ওয়ারী বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফল প্রকাশ হয় ১২ সেপ্টেম্বর। ওই পরীক্ষায় অংশ নেয়া এক পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি। পরে ফেসবুকের মাধ্যমে এক প্রতারকের সঙ্গে পরীক্ষার্থীর মায়ের পরিচয় হয়। ওই প্রতারক নিজেকে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দেন ও রোল নম্বর নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানান, ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার রেজাল্ট ভালোই হয়েছে। সরকারিভাবে চান্স পেলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনিয়মের কারণে তাকে সুযোগ না দিয়ে অন্য কাউকে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। তবে এখনো মেয়েকে ডেন্টালে ভর্তি করানোর সুযোগ আছে, সেজন্য মেয়ের মায়ের কাছে ১০ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন প্রতারক। ভিকটিমের কাছে এত টাকা না থাকায় মুসা বলেন, এখন দুই লাখ টাকা দিন, বাকি টাকা ডেন্টালে ভর্তির পড়ে দিলেই হবে। তিনি বলেন, অভিযুক্তের কথা বিশ্বাস না করায় তখন ভিকটিমের ইমো আইডিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি নবিউল হাসান শামসুর পরিচয়পত্র পাঠিয়ে দেয়। একইসঙ্গে ভিকটিমের মনে বিশ্বাস স্থাপনের জন্য মোবাইলে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে ফেক চ্যাটিং স্ক্রিনশট পাঠায়। ওই পরিচয়পত্র দেখে ভিকটিম কিছুটা আশ্বস্ত হন। পরে যাত্রাবাড়ী থানার শহীদ ফারুক সড়কের রেটিনা কোচিং সেন্টারের সামনে মুসার সঙ্গে দেখা করে চাহিদা মোতাবেক দুই লাখ টাকা দেন।

ডিসি মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন আরও বলেন, টাকা দেয়ার পরদিন মুসাকে ফোন করে রেজাল্টের বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানায়, উপরের মহলে আরও এক লাখ টাকা দিতে হবে, নয়তো তার মেয়ের রেজাল্ট আগের মতো বলবৎ থাকবে। তখনই মুসার কথাবার্তায় ভিকটিমের মনে সন্দেহ হয় এবং অনুমান করেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। অন্যদিকে মুসা ভিকটিমের কাছে টাকার জন্য বারবার ফোন দিতে থাকে এবং মেসেঞ্জারে ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে যে, চাহিদা মোতাবেক টাকা না দিলে ভিকটিমের মেয়েকে কোথাও ভর্তি হতে দেবে না। এ ঘটনায় গত শনিবার ২৩ অক্টোবর যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়। পরবর্তীতে মামলাটি তদন্তের জন্য গোয়েন্দা (ওয়ারী) বিভাগে হস্তান্তর হলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম, গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রোববার রাতে গেন্ডারিয়া থানার নারিন্দা এলাকা থেকে অভিযুক্ত মুসাকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মুসা স্বীকার করেছেন, এর আগেও তিনি অনেক প্রার্থীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন