শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

‘প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী পদক্ষেপে দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০ এএম

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম হয়ে আজ বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। সম্প্রতি তিস্তার পানি বেড়ে গেলে ডিজিটাল ব্যবস্থায় তিন হাজার স্থানীয় মানুষকে পূর্বাভাস মেসেজ দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী পদক্ষেপে দুর্যোগ মোকাবিলা করেও বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন গতিশীল রেখেছে।

গতকাল সোমবার বিকালে রাজধানীর গ্রীণরোডস্থ পানিভবনে ‘ডিজিটাল বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তথ্য প্রযুক্তিলব্ধ জ্ঞানের বাস্তব প্রতিফলন আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনে এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ একটি সহায়ক শক্তির নাম। পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বললে বিএনপি আগে টিপ্পনী কাটতো। কিন্তু আজ ডিজিটাল ব্যবস্থায় হাওরসহ সব এলাকায় আমরা সঠিক পূর্বাভাস পাঠাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় শিক্ষকের ভূমিকা পালন করছে। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘করোনাকালে ৭২ লক্ষ মানুষ টেলিমেডিসিন সেবা নিয়েছে।’ দেশের ৭১ শতাংশ মানুষ প্লাবন সমভূমিতে বাস করে। তাই এই পূর্বাভাস ব্যবস্থা ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে সাহায্য করবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বক্তব্যে সারা দেশের জন্য সমন্বিত ডিজিটাল পূর্বাভাস ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসিন। উপসচিব মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ। এছাড়াও এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি উপদেষ্টা আনির চৌধুরী, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের মহাসচিব ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসিন সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। এর আগে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে গুগলের ভাইস প্রেসিডেন্ট উশি মাতিয়াস বক্তব্য রাখেন।
এসময় মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ সকল সংস্থাপ্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডিজিটাল পূর্বাভাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলা হয়, ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন থেকে তিনদিন আগে স্থানীয় মানুষের স্মার্টফোনে বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ দেওয়া কাজ শুরু হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা’র মাধ্যমে ৫৫টি জেলার ৯৯টি উপজেলার বন্যাপ্রবণ এলাকার জনগণের কাছে স্মার্টফোনের পুশ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে বন্যার আগাম তথ্য ও পূর্বাভাস প্রচার করা হবে।
বর্ষা মৌসুমে দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ার ফলে সৃষ্ট বন্যার পূর্বাভাস এবং আগাম সতর্কবার্তা ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এটুআই এবং গুগলের সহায়তায় একটি করা হয়েছে। বাপাউবো’র বিদ্যমান আগাম পাঁচ দিনের বন্যা পূর্বাভাস উপাত্তকে প্রক্রিয়াকরণ করে উন্নততর প্লাবন মানচিত্রের সাহায্যে বন্যা শুরু হওয়ার তিনদিন থেকে তিন ঘণ্টা আগে স্থানীয় জনগোষ্ঠী পর্যায়ে তাৎক্ষণিক ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে বন্যার পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে গুগল পুশ নোটিফিকেশনের (ইন্টারনেট সংযোগ চালু থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সতর্কবার্তা আসবে) মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের এই পূর্বাভাস দিচ্ছে। ২০২০ সালে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও পদ্মা নদী তীরবর্তী ১৪টি জেলার ৩৮টি উপজেলায় এই কার্যক্রমটি পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করা হয়। ২০২০ সালে বন্যাকবলিত এলাকার ৩ লাখ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারীকে প্রায় ১০ লাখ পুশ নোটিফিকেশন পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বাপাউবো’র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের মাধ্যমে সারা দেশে ১০৯টি স্টেশনে বন্যা মনিটরিং এবং ৫৫টি স্টেশন থেকে বন্যা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। গুগলের কারিগরি সহায়তায় ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা’র মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এসব স্টেশন এলাকার আওতাভুক্ত ৫৫টি জেলার ৯৯টি উপজেলার বন্যাপ্রবণ এলাকার জনগণের কাছে স্মার্টফোনের পুশ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে বন্যার আগাম তথ্য ও পূর্বাভাস প্রচার করা সম্ভব হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন