মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রবাস জীবন

নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি বিল পাশ

মেরী জোবাইদা ও মৌমিতার ইতিহাস সৃষ্টি

সালাহউদ্দিন আহমেদ, নিউইয়র্ক থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০ এএম

নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল ও স্টেট নির্বাচনে লড়েছেন এমন দুই নারী প্রার্থী স্টেট নির্বাচনী আইন প্রয়োগে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি ও ডিস্টিক্ট লিডার পদের নির্বাচনের প্রাক্কালে এই দুই প্রার্থীর নাম নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী ব্যালট থেকে তাদের নাম বাদ দিয়েছিল। পরবর্তীতে আদালতে শরণাপন্ন হয়ে তারা নির্বাচনে অংশ নেন। কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে কেউ নিজের ডাক নাম নিয়ে কোন ধরনের অস্বস্তিতে না ভুগেন সেজন্য একটি আইন প্রণয়নে স্টেট অ্যাসেম্বলি একটি বিল পাশ করেছে।

সম্প্রতি গভর্নর ক্যাথি হকুল তাতে স্বাক্ষর করায় তা এখন আইনে পরিণত হয়েছে। যার ফলে ভবিষ্যত নির্বাচনে যে কেউ চাইলে তার ডাক নাম নিয়েও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু ছিলেন উক্ত বিলেন উদ্যোক্তা। বিলটি এখন আইনে পরিণত হওয়ায় অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশি দুই নারী মেহেরুন্নিসা জোবায়দা যার ডাক নাম মেরী জোবায়দা হিসেবে গত স্টেট অ্যাসেম্বলি নির্বাচনে ডিস্ট্রিক্ট ৩৭ থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। একইভাবে মৌমিতা আহমেদ অংশ নিয়েছিলেন জ্যামাইকা হিলসাইড এভিন্যু এলাকা থেকে ডিষ্ট্রিক্ট লিডার পদে।
গভর্নর ক্যাথি হকুল বলেন, দু’জন সাউথ এশিয়ান প্রার্থীকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন যা করেছিল তার পুনরাবৃত্তি রোধ করতেই এই আইন। আমরা সবাইকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়ার সুযোগকে অবারিত করে দিতে চাই। এ বিষয়ে মেরী জোবাইদা বলেন, এটি আমাদের ব্যক্তিগত কোন লড়াই ছিল না। আমরা সবার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আজকের এই ঐতিহাসিক মুহুর্তে আমাদের জন্য যারাই সাহস ও সমর্থন দিয়েছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
মৌমিতা আহমেদ বলেছেন, সত্যের জন্য আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। এটা শুধু বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট নয় সকল ইমিগ্র্যান্টদের বিজয়। বিলের স্পন্সর সিনেটর জন লু এক সাক্ষাতকারে বলেন, মেরী ও মৌমিতা যে লড়াই শুরু করেছিলেন তা ছিল অভিবাসী সমাজের দাবি আদায়ের সংগ্রাম। আমি তাদের অভিনন্দন জানাই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন