২০১০ এবং ২০১২ সালে প্রাইমারি স্কুলে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে বিদ্যমান বেতন বৈষম্যে দূরীকরণের দরখাস্ত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামি ৪৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দরখাস্ত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। রোববার দেয়া আদেশের বিষয়টি গতকাল সোমবার এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন রিটের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
রিটে বলা হয়, ২০১০ সালে সরাসরি নিয়োপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ২০১২ সালের ৩০ জুনের পূর্বে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের অপেক্ষা বেতন কম নির্ধারণ করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ২০১০ এবং ২০১২ সালের সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে সৃষ্ট বেতন বৈষম্যে দূর করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু এরপরও কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫ জন সহকারি শিক্ষক রিট করা হয়। রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়েরর সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ পাঁচ জনকে বিবাদী করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন