বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ছায়াপথের বাইরে প্রথম গ্রহের লক্ষণ দেখতে পেলেন বিজ্ঞানীরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ৩:৪০ পিএম | আপডেট : ৪:১২ পিএম, ২৬ অক্টোবর, ২০২১

এই প্রথমবারের মতো ছায়াপথের বাইরে কোন গ্রহের লক্ষণ শনাক্ত করা হলো। আমাদের ছায়াপথের বাইরে এমন একটি লক্ষণ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, যা হতে পারে একটি গ্রহ। কিন্তু এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

জানা গেছে, মেসিয়ার ৫১ ছায়াপথে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা চন্দ্র এক্স-রে টেলিস্কোপ ব্যবহার করে শনি গ্রহের সমান আকৃতি বিশিষ্ট ওই গ্রহের মতো বস্তু আবিষ্কার করা হয়েছে। মেসিয়ার ৫১ নক্ষত্রপুঞ্জকে এর প্যাচানো আকৃতির জন্য ওয়ার্লপুল বা ঘূর্ণি ছায়াপথ বলেও বর্ণনা করা হয়। আমাদের ছায়াপথ থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২ কোটি ৮০ লাখ আলোকবর্ষ। এখন পর্যন্ত মহাজাগতিক এবং আমাদের ছায়াপথের ভিতরে প্রায় ৫ হাজার ‘এক্সোপ্লানেট’ আবিষ্কার করা হয়েছে। সূর্যের চারদিকে যেমন গ্রহগুলো ঘোরে, সেভাবে বিভিন্ন নক্ষত্র ঘিরে ঘুরতে থাকা প্রায় পাঁচ হাজার গ্রহ এর আগে শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সেগুলোর সবই আমাদের ছায়াপথে দেখা গেছে।

হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ইন কেমব্রিজের ড. ডি স্টেফানো বলেছেন, আমরা যে পদ্ধতিতে কাজ করছি, এটাই হল এখন পর্যন্ত অন্য কোন ছায়াপথে থাকা গ্রহ-নক্ষত্র খুঁজে বের করার কার্যকর উপায়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা যেসব তথ্য-উপাত্ত পেয়েছেন, তা থেকে ধারণা করছেন যে, এই সম্ভাব্য গ্রহটির আকার হবে শনি গ্রহের মতো। যে নিউট্রন স্টার বা ব্ল্যাক হোল ঘিরে এটি ঘুরছে, তার সঙ্গে দূরত্ব সূর্য থেকে শনির দূরত্বের প্রায় দ্বিগুণ। তবে গবেষকরা স্বীকার করছেন, এই বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে তাদের আরও তথ্য-উপাত্ত দরকার।

এক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা হলো, বিশাল কক্ষপথের কারণে যে নক্ষত্র বা ব্ল্যাকহোল ঘিরে এটি ঘুরছে, আবার তার সামনে প্রায় ৭০ বছর সময় লাগে যাবে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে এই আবিষ্কারের একটি ফলোআপ পর্যবেক্ষণ করার আপাতত উপায় নেই। বিজ্ঞানীরা এটাও বিবেচনায় রেখেছেন যে, আলোর বিকরণ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আরেকটি সম্ভাব্য কারণ থাকতে পারে যে, হয়তো কোন গ্যাস ও ধুলোর মেঘ এর সামনে পড়তে পারে, যা এক্স-রে রশ্মি বিকরণে বাধা দিয়েছে। যদিও সেই সম্ভাবনা খুবই কম বলে তারা মনে করেন। কারণ যেভাবে আলোর বিকিরণ কমে গেছে, সেটি কোন গ্যাসের আস্তরণের কারণে হয়েছে বলে তারা মনে করেন না।

গবেষকদের একজন প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির জুলিয়া বার্নটসন বলছেন, 'আমরা জানি যে আমরা একটি উত্তেজনাপূর্ণ এবং সাহসী দাবি করেছি। আমরা আশা করবো, অন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এটা সতর্কতার সঙ্গে দেখবেন। আমরা মনে করি, আমাদের পক্ষে শক্ত যুক্তি আছে। বিজ্ঞান যেভাবে কাজ করে, আমরা সেভাবেই কাজ করেছি।

নক্ষত্র থেকে আলো বিকিরিত হতে থাকে। কিন্তু যখন কোন নক্ষত্রের সামনে দিয়ে গ্রহ প্রদক্ষিণ করে, তখন সেই আলোর কিছু অংশ ঢেকে যায়। তার এক্স-রে রশ্মি বিকরণ বাধাগ্রস্ত হয়। তখন তার সামনে থাকা গ্রহটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়, যা টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়। যে পদ্ধতিতে নতুন গ্রহ শনাক্ত করার ধারণা করা হচ্ছে, তা ব্যবহার করে এর আগে হাজার হাজার গ্রহ শনাক্ত করা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন