দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে খুলনায় স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি পুলিশী বাঁধায় পন্ড হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কর্মীরা অভিযোগ করেছেন পুলিশ কর্মসূচিস্থলের মাইক বন্ধ করে দেয়, ব্যানার কেড়ে নেয়। এ সময় কয়েকজন কর্মীকে গ্রেফতার করতে চাইলে নেতৃবৃন্দের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। ধাওয়া ও ধস্তাধস্তির ঘটনায় তিন কর্মী আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪ টার দিকে কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মানববন্ধন শুরু করে খুলনা মহানগর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। সমাবেশ থেকে বক্তারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকারের ব্যর্থতা ও মুনাফালোভী সিন্ডিকেটকে দায়ি করেন।
বক্তারা বলেন, সরকারের লুটপাটের কারণে মুদ্রাস্ফীতি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। শুধু তাই নয়, সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘুদের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বিএনপির ওপর দায়ভার চাপানোর চেষ্টা করছে। বক্তব্য চলাকালে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খুলনা থানার সামনে থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ কর্মসূচিস্থলে এসে পৌঁছান। তারা তৎক্ষণাত সমাবেশ বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। এ সময় দলীয় নেতাদের সাথে বেশ কিছু সময় বাকবিতন্ডা চলে। এক পর্যায়ে পুলিশ কর্মসূচির ব্যানার ছিনিয়ে নেয় এবং মাইক বন্ধ করে দেয়। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নেতকর্মীদেরকে ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকজনকে আটকের চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে নেতৃবৃন্দের ধস্তাধস্তি হয়। তখন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ব্রোজেন ঢালী, বাপ্পী ও খোকন আহত হন। প্রায় আধাঘন্টা সময়ব্যাপী সেখানে চরম উত্তেজনা চলতে থাকে। পুলিশ থানার মোড় থেকে হেরাজ মার্কেট পর্যন্ত রাস্তায় বা ফুটপাতে কাউকে দাঁড়াতে দেয়নি।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি তৈয়েবুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা। বিশেষ অতিথি ছিলেন খান জুলফিকার আলী জুলু, শফিকুল আলম তুহিন, এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী, আজিজুল হাসান দুলু, এহতেশামুল হক শাওন, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, ইবাদুল হক রুবায়েদ, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, আজিজুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর কমিটির সভাপতি একরামুল হক হেলাল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন