মো: হযরত আলী। জামালপুর শহরের হযরত চাচা নামে বেশ পরিচিত ৫৫ বছর বয়সী এই ব্যাক্তিটি। তার পরিচিতির আলাদা কারণও রয়েছে। এই শহরের কিশোর, যুবক, বয়স্ক, বৃদ্ধ, সাংবাদিক, নেতা, ব্যবসায়ীসহ এমন কোনো শ্রেণি পেশার ব্যক্তি নেই যার কান ধরে টান দেয়নি এই হযরত চাচা। শুনতে অবাক লাগলেও হযরত আলীর পেশাই এটি। তিনি মানুষের কান পরিষ্কার করছেন দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর জামালপুর শহরের প্রধান সড়কে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় মো. হযরত আলীকে। একটি ছোট লাইট মাথায় বেধে আর কাধে একটি লম্বা ব্যাগ ঝুলিয়ে তিনি কড়া নাড়েন তার নিয়মিত ক্ষদ্দেরের দোকানেগুলোতে। তার লম্বা ব্যাগটিতে রয়েছে কান দেখার যন্ত্রপাতি। এর মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য কয়েকটি যন্ত্রপাতি হলো- সুচের মতো চিকন লম্বা একটি বস্তু, তুলা, স্যাভলন, স্প্রীড, অলিভয়েল তেলসহ প্রায় ১০ রকমের পন্য। এসব দিয়েই কান দেখেন তিনি। হয়রত আলীর বাড়ি জামালপুর শহরতলীর বামুনপাড়া গ্রামে। সেই গ্রামের মৃত জিন্নাত আলীর ছেলে তিনি। ২ ছেলে ও ২ মেয়ের বাবা হযরত আলীর সংসার চলে এই কান দেখার টাকা দিয়েই। হযরত আলীর সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। এই পেশায় আসার কারন জানতে চাইলে হযরত আলী বলেন- “আমি ১৯৭৮ সালের শুরুতে জামালপুর শহরে আঙটি বেচতাম। কিন্তু এই ব্যবসাটাতে মেলা মিছে কতা কওন লাগে। আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। মিছে কতা কইতে আমার ভাল লাগে না। তাই ব্যবসা বদল করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন