মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সিলেটে ছাত্রলীগ নেতা রাহাতের হত্যাকারী সাদী কুষ্টিয়ায় গ্রেফতার, সিআইডির ব্রিফিং

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০২১, ১:৫৪ পিএম

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম রাহাত খুনের ঘটনার মামলায় প্রধান আসামি সামসুদ্দোহা সাদীকে গ্রেফতার হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দুর্গম চর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। এর আজ বুধবার দুপুরে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছে সিআইডি। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, রাহাত খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টির পর ছায়া তদন্তে নামে সিআইডি। বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের নির্দেশনায় এলআইসি’র একটি চৌকস টিম কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দুর্গম চর এলাকা থেকে মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি সামসুদ্দোহা সাদীকে (২৩) গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডিকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন সাদী। বয়সে সাদী ছিলেন রাহাতের চেয়ে বড়। এজন্য রাহাতের কাছে ‘জ্যেষ্ঠতা’ (সিনিয়রিটি) দাবি করে আসছিলেন তিনি। এ নিয়ে উভয়ের বিবাদের অংশ হিসেবে সংঘটিত হয় এ হত্যাকান্ডটি। ঘটনার সময় সাদীর পকেটে ছোরা ছিল বলে জানায় সিআইডি। সেটি দিয়েই রাহাতকে ছুরিকাঘাত করেন তিনি। ঘটনার পর সাদী পালিয়ে অবস্থান করেন ঢাকার মিরপুরে। সেখান থেকে আত্মগোপনে কুষ্টিয়ায় চলে যান তিনি। সামসুদ্দোহা সাদীকে গ্রেফতারের পর কাল রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ রাজধানী ঢাকার মালিবাগে সিআইডি হেডকোয়ার্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। আরিফুল ইসলাম রাহাত খুনের ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে তার চাচা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা নয়-২১/২২/১০/২১। মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, ‘রাহাতের চাচা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় ৩ জনের নামোল্লেখ ও ৫-৭ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে করা হয়েছে আসামি।’ মামলায় প্রধান আসামি করা হয় দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানা এলাকার সিলাম পশ্চিমপাড়ার মৃত মোবারক আলীর ছেলে সামসুদ্দোহা সাদীকে। অপর দুই আসামি হলেন একই এলাকার জামাল মিয়ার পূত্র তানভীর আহমদ (১৯) ও দক্ষিণ সুরমার তেতলি ইউনিয়নের আহমদপুর গ্রামের মৃত গৌছ মিয়ার পূত্র ওলিদুর রহমান সানী।
এদের মধ্যে সাদী ছাত্রলীগের কর্মী। সে সিলেট ছাত্রলীগের কাশ্মীর গ্রুপের সাথে জড়িত।

দক্ষিণ সুরমা কলেজের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। কলেজে অধ্যয়নকালীন একবার বহিষ্কারও করা হয় তাকে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) আরিফুল ইসলাম রাহাত (১৮) প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন। এসময় তার সঙ্গে মোটরসাইকেলে ছিলেন চাচাতো ভাই রাফি। যাবার পথে চাচাতো ভাইকে কলেজ গেটে রেখে এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে কলেজ ক্যাম্পাসে যান রাহাত। পরে বের হওয়ার সময় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কলেজের মূল গেট থেকে ২০-২৫ গজ ভেতরে সাদী ও তানভীর সিলভার রঙ্গের একটি পালসার মোটরসাইকেলযোগে পেছন থেকে এসে রাহাতকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে রাহাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। রাহাত দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পুরাতন তেতলি এলাকার সুরমান আলীর পূত্র ্ও দক্ষিণ সুরমা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন