ইনকিলাব ডেস্ক : তুর্কি বাহিনী গত ২৪ আগস্ট শুরু হওয়া ইউফ্রেটিস শেইল্ড অপারেশনের প্রথম সাফল্য পেয়েছে আলেপ্পোর একশ’ মাইল উত্তরে তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তবর্তী জারাবুলু শহর আইএসমুক্ত করে। তুর্কি কর্তৃপক্ষ শহরটিকে সেফ জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে। ছোট এ শহরটি তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে আইএসের দখলে ছিল। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এ মাসের গোড়ার দিকে সেফ জোন ধারণার প্রতি জোরালো সমর্থন দেন। তিনি বলেন, আমরা একে একে সিরিয়ার মাটি নিরাপদ করতে পারলেই সন্ত্রাসবাদ ও শরণার্থী সমস্যার সমাধান হবে। কোনো বোমাবাজি, সংঘাত ও আইএস থাকবে না।
তুর্কি সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তায় দেড় হাজার ফ্রি সিরিয়ান আর্মি-এফএসএ কোনো রকম বাধা ছাড়া সীমান্তবর্তী শহরটির দখল নেয়। আইএস সদস্যরা কোনো প্রতিরোধ না গড়ে গোপনে চলে গিয়েছিল। শহরটি এখন পুরোপুরি এফএসএ’র নিয়ন্ত্রণে এবং নিরাপদ। যদিও এফএসএ’কে দূরে থেকে সহায়তা দিচ্ছে তুর্কি সামরিক বাহিনী। এদিকে এফএসএ সৈন্যরা বলেছে, তুরস্কের সমর্থন ছাড়া তারা এখানে থাকবে না। জারাবুলুস থেকে যারা চলে গিয়েছিল, তারা এবার ফিরে আসছে। তারা নতুন হাসপাতাল, স্কুল ও আবাসিক সুবিধা ভোগ করছে। বিশেষ করে তাদের মধ্যে শান্তি ফিরে এসেছে। তুরস্ক শহরটিকে সেফ জোন হিসেবে ঘোষণা করলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনো এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়নি।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান এ ধারণাটি জোরেশোরে প্রচার করছেন এবং অন্যদের এটি গেলাবার চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি জি২০ সম্মেলনে তিনি বিশ^ নেতৃবৃন্দকে বলেন, এখানে নো-ফ্লাই জোন গড়ে তোলা হবে এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং ওবামার প্রতি এটাই আমার পরামর্শ। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করতে আলোচনায় বসবেন। এদিকে, তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী ৫৫ মাইল এলাকা নিয়ে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সেফ জোনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন তুর্কি কর্মকর্তারা। স্কাই নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন