বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মিথ্যা মামলার দায় কার?

মিথ্যা মামলা-ভুয়া ওয়ারেন্ট-নিরপরাধ মানুষের হয়রানি ঠেকাতে চলতি বছর ১৪ জুন ৭ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট

সাঈদ আহমেদ | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

মামলা দায়ের হয় এবং আসামি ধরা পড়েন। কখনও জামিন মেলে, কখনও মেলে না। বিচারে নির্দোষ প্রমানে আদালত বেকসুর খালাস দেন। কিন্তু ততোক্ষণে নির্দোষ ব্যক্তির সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে যায়। বিনা অপরাধে গ্রেফতার হওয়া আসামির সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বয়ে বেড়াতে হয় অপরাধের গ্লানি।

বেকসুর খালাসের পরও কারাভোগ এবং অনেক ক্ষেত্রে ‘অপরাধী’ তকমা নিয়ে বাঁচতে হয় সারাজীবন। অপরাধ না করেও কারাবাস। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায় দিনগুলো জীবন থেকে হারিয়ে যায়। সন্তান, পরিবার, স্বজন থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা। কর্মক্ষমদের কারাজীবনে উপার্জনহীন থাকা। মামলা পরিচালনায় অর্থ যোগান। সহায়-সম্বল বিক্রি। এমন আরও বহুমাত্রিক ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হতে হয় একতরফাভাবে শুধুমাত্র ‘আসামির’।

বিচারে ‘নির্দোষ’ প্রমাণিত হলেও এর দায়-দায়িত্ব কাউকেই নিতে হয় না। অথচ যে বাদী নিরপরাধ ব্যক্তিটিকে ‘আসামি’ করলো, যিনি মামলা রেকর্ড করলেন, যিনি মামলা তদন্ত করলেন, যে আইনজীবী নিরপরাধ ব্যক্তিটিকে ‘অপরাধী’ প্রমাণে মরিয়া হলেন-তাদের যেন কোনো দায় নেই। কিংবা যে ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতার কারণে শান্তিপ্রিয় নিরীহ নাগরিককে ‘আসামি’ হতে হলো-সেই ব্যবস্থাপনার দায়িত্বশীল ব্যক্তিদেরও কার্যকর কোনো জবাবদিহিতা নেই। যদিও সংবিধানের ১৫(ঘ) অনুযায়ী নাগরিকের সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার সুনিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ১৯(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ মতে, রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক সমান।

বিনা অপরাধে কারাভোগ করেন তারা : একটি রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের দায়েরকৃত মামলায় আসামি করা হয়েছিলো নিরীহ পাটকল শ্রমিক মো. জাহালমকে। তফসিলের মধ্যে পড়ায় মামলাটি তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জাহালমকে এমন কয়েকটি ধারায় অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয় যেটিতে অপরাধ প্রমাণিত হলে ১৫ বছর কারাদণ্ড হতো।

কারাভোগের ৩ বছর পর জানা গেলো, জাহালম নির্দোষ। উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। দুদক এই মর্মে ভুল স্বীকার করে যে, তাদের ভুল তদন্ত এবং এক ব্যাংক কর্মকর্তার ভুল সাক্ষ্যের কারণে কারাভোগ করতে হয়েছে নিরপরাধ জাহালমকে। কিন্তু দায়ী ব্যক্তিদের কোনো শাস্তি ভোগ করতে হয়নি।
ঘটনা ২০০৩ সালের। সাতক্ষীরার দু’জন পুলিশ কর্মকর্তা খুন হন। ঘটনার পর আসামি করা হয় ওবায়দুর রহমান নামক ব্যক্তিকে। ওবায়দুর ‘আবেদ আলী’ নামেও পরিচিত। মামলার বিচারে ২০০৬ সালে আবেদ আলীসহ দু’জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়। ২০১১ সালে হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে আবেদ আলীকে বেকসুর খালাস দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ আপিল করে। এর শুনানি চলে ৪ বছর। ২০১৮ সালে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্ট।

নির্দোষ আবেদ আলীকে কারামুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়। আদেশের কপি কারাকর্তৃপক্ষের কাছে যখন পৌঁছায়-আবেদ আলী তখন মৃত। অর্থাৎ, মুক্তির আদেশ হাতে পাওয়ার কিছুক্ষণ আগে কারাভ্যন্তরে ইন্তেকাল করেন আবেদ আলী। এ ঘটনার জন্যও কোনো পর্যায়ের কাউকে শাস্তি ভোগ করতে হয়নি।
১৯৯২ সালে ‘ডাকাতির মামলা’য় গ্রেফতার হন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাবুল মিয়া। সে সময় তার বয়স ছিলো ১৮ বছর। বিচারের দীর্ঘ প্রক্রিয়া পেরিয়ে ২০১৭ সালে উচ্চ আদালতে ‘নির্দোষ’ প্রমাণিত হন বাবুল। তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। কারাগারেই কেটেছে তার কৈশোর, তারুণ্য এবং যৌবনের বিশাল অংশ। ২৫ বছর কারাভোগ করেন বাবুল।

অথচ যে ধারায় তাকে ‘দোষী সাব্যস্ত’র চেষ্টা করা হয়েছে সেই ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তার শাস্তি হতো বড়জোর ১০ বছর। জীবনের এতো বড় ক্ষতির জন্য বাবুল কারও কাছে বিচার চাইতে পারেননি। মুক্তির পর শুধু গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি তিনি প্রশ্ন রেখেছিলেন-আমার যৌবনের ২৫টি বছর ফিরিয়ে দেবে কে?
স্ত্রী এবং দেড় বছরের শিশু সন্তান হত্যার অভিযোগে ২০০০ সালে মামলার ‘আসামি’ করা হয় বাগেরহাটের শেখ জাহিদকে। তদন্ত শেষে বিচার প্রক্রিয়ায় ২০০৪ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্টও তার দণ্ডাদেশ বহাল রাখেন।

এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে সুপ্রিম কোর্ট শেখ জাহিদকে নির্দোষ ঘোষণা করেন। আর আদেশে যখন খুলনা কারাগার থেকে জাহিদের কারামুক্তি ঘটে তখন তার বয়স ৫০ বছর। ২০টি বছর তাকে কাটাতে হয় ফাঁসির আসামিদের জন্য নির্ধারিত ‘কনডেম সেল’ এ। তার মূল্যবান জীবনের বন্দিত্ব এবং যন্ত্রণাকাতর কারা জীবনের জন্য যারা দায়ী তাদের কাউকেই শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়নি।
আসামির বাবার নামের সঙ্গে নিজ নামের মিল থাকায় ২০১৬ সালে মিরপুরের আরমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৫ বছর কারা ভোগ করতে হয় কোনো অপরাধ না করেই। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১৬ সালে কাশিমপুর কারাগার থেকে কারামুক্তি ঘটে নিরপরাধ আরমানের।

দেশে নিরপরাধ মানুষের কারাভোগের ঘটনা ঘটছে অহরহ। অনেক ঘটনা সিনেমার কাহিনীকেও হার মানায়। বাদীর ব্যক্তিগত জিঘাংসা, তদন্ত কর্মকর্তাদের ইচ্ছাকৃত ‘ভুল’ ,অনিচ্ছাকৃত ‘ভুল’, মিথ্যা সাক্ষ্যদান, বিচারের দীর্ঘসূত্রিতাসহ নানা কারণে এমনটি ঘটছে। তবে প্রায় অভিন্ন ঘটনার পুনরাবৃত্তির জন্য ‘দায়ী ব্যক্তি’দের জবাবদিহিহীনতা, ভুল মামলার নামমাত্র শাস্তি, যথাযথ শাস্তির আওতায় না আনা দায়ী করছেন আইনজ্ঞরা।
হাইকোর্টের নির্দেশনা : মিথ্যা মামলা, ভুয়া ওয়ারেন্ট তথা এবং নিরপরাধ মানুষের হয়রানি ঠেকাতে চলতি বছর ১৪ জুন ৭ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এসব নির্দেশনায় মধ্যে ফৌজদারি মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে বাদীর এনআইডি কার্ড বাধ্যতামূলককরণ, গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুর সময় পরোয়ানা প্রস্তুতকারী ব্যক্তিকে ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৭৫ এর বিধান মতে নির্ধারিত ফরমে উল্লেখিত চাহিদা অনুযায়ী সঠিক ও সুস্পষ্টভাবে তথ্যাদী পূরণের কথা বলা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের সচিব, সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, পুলিশের আইজি, আইজি প্রিজন ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো সকল দায়রা জজ ও মেট্টোপলিটন দায়রা জজ, সকল ট্রাইব্যুনাল, বিশেষ জজ আদালতের বিচারক, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে অবগত করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জয়নুল আবেদীন বলেন, মামলা রেকর্ডকালে বাদীর এনআইডি’র অনুলিপি দাখিল বাধ্যতামূলক হলে ভুয়া মামলা রুজুর প্রবণতা হ্রাস পাবে। যারা বিদেশে থাকেন তারা পাসপোটের মাধ্যমে এবং যাদের বয়স ১৮ বছরের কম তাদের পক্ষে আত্মীয়রা মামলা করতে পারবেন। এনআইডি ছাড়া মামলা করার সুযোগ থাকলে যে কোনো মানুষ হয়রানির শিকার হতে পারে। মানবপাচার আইন, নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনসহ কিছু কিছু আইনে মামলা হলে মামলার চূড়ান্ত শুনানির আগে আসামিকে দীর্ঘদিন জেলে থাকতে হতে পারে।

‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ বলেন, মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে এনআইডির বাধ্যবাদকতা থাকলে যারা বিদেশে থাকেন তাদের এনআইডি নেই। আর যাদের বয়স ১৮ বছরের কম তাদেরও এনআইড নেই। আদালত এনআইডির অনুলিপি দেয়ার কথা বলেছেন এটা চূড়ান্ত নয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে হয়তো আদালত বিষয়গুলো দেখবেন। তবে মামলা করার ক্ষেত্রে এনআইডির কপি দেয়া গুরুত্বপূর্ণ। আর তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভুয়া মামলার বাদিকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেয়া।

মিথ্যা মামলার শাস্তি গৌণ : মিথ্যা মামলায় একজন নিরপরাধ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলা সম্ভব হলেও মিথ্যা মামলার বাদীর বিরুদ্ধে নেই পর্যাপ্ত শাস্তির বিধান। এমনকি যারা ‘মিথ্যা মামলা’ রেকর্ড এবং তদন্ত করেন তাদেরকেও প্রকারন্তে দেয়া হয়েছে দায়মুক্তি। ঢাকা বারের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ফৌজদারি আইনে মিথ্যা মামলার শাস্তির বিধান উদ্ধৃত করে বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ সঙ্ঘটনের কোনো ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ নেই জেনেও তার বিরুদ্ধে কোন মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তাহালে প্রথমোক্ত ব্যক্তি অন্যুন ২ বছর এবং অনধিক ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হতে পারেন।

দণ্ডবিধির ২১১ ধারা অনুযায়ী মিথ্যা মামলা করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ যদি তার বিরুদ্ধ দায়ের করা মামলা আদালতে মিথ্যা প্রমাণ করতে পারেন তাহলে বাদির বিরুদ্ধে ওই ধারায় মামলা করা যায়। আর ফৌজদারি কার্যবিধি ২৫০ ধারা অনুযায়ী মিথ্যা মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণের আদেশ দিতে পারেন আদালত। কোনো পুলিশ কর্মকর্তা আমলযোগ্য নয় এ রকম কোনো মামলায় মিথ্যা প্রতিবেদন দিলে তার বিরুদ্ধেও এ ধারা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণের আদেশ দিতে পারেন আদালত। মিথ্যা মামলা ছাড়াও দন্ডবিধির ১৯৩, ১৯৪ এবং ১৯৫ ধারায় বলা বলা আছে মিথ্যা সাক্ষ্যের মাধ্যমে মিথ্যা মামলায় সহায়তা অপরাধ। এই অপরাধে ৭ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ডে বিধান আছে। যদি এমন একটি মিথ্যা মামলা করা হয় যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হয় তাহলে এই মিথ্যা মামলার শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড।

তবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে এ আইনে প্রতিকার চাইতে হবে আরেকটি মামলা করে। সেই মামলার বিচারে রয়েছে দীর্ঘসূত্রিতা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরণের ক্ষতিপূরণ মামলা নিষ্পত্তির সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে। বাংলাদেশে তেমনটি নেই। সহসাই বিচার না পাওয়ার অনিশ্চয়তা থেকে অনেক ভিকটিম পাল্টা মামলা রুজুতে আগ্রহী হন না। এর ফলে এক ধরণের দায়মুক্তি পেয়ে থাকেন মিথ্যা মামলার বাদী এবং তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে অকারণ কারাভোগকে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত ব্যক্তি মামলা দায়েরে নিরুৎসাহিত হন মামলা দায়েরে। বিষয়টিকে ‘নিয়তি’ হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য হন নিরপরাধ ব্যক্তি।

সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, ফৌজদারি আইনে মিথ্যা মামলার প্রেক্ষিতে পাল্টা মামলা করার বিধান রয়েছে। ভিকটিম ক্ষতিপূরণও চাইতে পারেন। কিন্তু যে আইনে একজন ভিকটিম অকারণ কারাগারে গেলেন সেই আইনে প্রতিকার লাভের ব্যবস্থা নেই। ফলে ভিন্ন ধারায় পাল্টা মামলা করে প্রতিকার চাইতে হয়। এবং এ মামলাও চলে বছরের পর বছর। পাল্টা মামলা যাতে সর্বোচ্চ ২ বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়-এমন একটি মহাপরিকল্পনা থাকতে হবে। আইনের শাসনের দুর্বলতা কাটাতে হবে।
ঢাকার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু বলেন, মিথ্যা মামলা থেকে আগে ভিকটিমকে অব্যাহতি দিতে হবে। যে কোনো ধরনের মিথ্যা মামলা থেকে প্রতিকার পেতে হলে ভিকটিমকে আইনি সহায়তা দিতে হবে। এখন ভিকটিম কার বিরুদ্ধে মামলা করবেন সেটি ঠিক করা উচিৎ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ২৮ অক্টোবর, ২০২১, ২:০৭ এএম says : 0
বড় অংকের একটি জরিমানার বিধান থাকলে এই গুলি বন্ধ হয়ে যাবে। সাক্ষ্য প্রমানে ছাড়া অযথা হয়রানি করা হলে,যারাই করবে যারা মিথ্যা কেইছ মিথ্যা সাক্ষী দিবে তাদের 20/30লক্ষ টাকা জরিমানার বিধান করেই এই সমাধান করতে হবে
Total Reply(0)
Shafiq Ali ২৮ অক্টোবর, ২০২১, ৩:০৮ এএম says : 0
৯৮% মিথ্যা মামলা সরকার করে বিরোধী দল দমনের জন্যে।
Total Reply(0)
Habiba Akter ২৮ অক্টোবর, ২০২১, ৩:০৯ এএম says : 0
এটাই তো সরকারের মুল হাতিয়ার
Total Reply(0)
Parvez ২৮ অক্টোবর, ২০২১, ৬:১৮ এএম says : 0
যতদিন ব্রিটিশ আইন কে ছুঁড়ে ফেলা না হবে, ততদিন এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না।
Total Reply(0)
MD MUHI UDDIN ২৮ অক্টোবর, ২০২১, ১০:০১ এএম says : 0
বড় অংকের একটি জরিমানা করা হোক
Total Reply(0)
Adv Musa Bhuiyan ৫ এপ্রিল, ২০২২, ১০:৫১ পিএম says : 0
দেওয়ানী মামলায় খরচ সহ রায় ও ডিক্রী হলে উত্তোলনের জন্য কি করনীয়।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন