২০২২ সালের পর ঢাকা শহরে যত্রতত্র, উন্মুক্ত স্থানে আর বর্জ্য থাকবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকাল মেয়র ৬৩ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এই ঘোষণা দেন।
তাপস বলেন, এ পর্যন্ত আমরা ৪২টি অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের কার্যক্রম সম্পন্ন করলাম। এ বছরের মধ্যে ৭৫টি ওয়ার্ডেই বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সব ওয়ার্ডেই বর্জ্য সেবা সংগ্রহকারী নিবন্ধন সম্পন্ন করেছি। তাদের মাধ্যমে আমরা বর্জ্য সংগ্রহ করে সেগুলো অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে নিয়ে আসব। সেখান থেকে আমরা মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে বর্জ্য স্থানান্তর করব। সুতারাং ২০২২ সালের পর ঢাকা শহরের উন্মুক্ত স্থানে আর বর্জ্য থাকবে না।
যত্রতত্র বর্জ্য পড়ে থাকার ফলে বাস যোগ্যতার তালিকায় ঢাকা শহর একেবারে নি¤œ সারিতে অবস্থান করে জানিয়ে মেয়র বলেন, “বাস যোগ্যতার ভিত্তিতে শহরগুলোর যে তালিকা প্রণয়ন করা হয়, সেখানে দেখা যায় ঢাকা সর্বনি¤েœ অবস্থান করে। এর একটি অন্যতম কারণ হলো, রাস্তার উপরে, নর্দমায়, খালে-বিলে সব জায়গায় বর্জ্য উপচে পড়ে থাকে। সে জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে অন্তবর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, ডেঙ্গু রোগীর হার একেবারে নি¤œ পর্যায়ে রয়েছে। গতকাল ডিএসসিসিতে মাত্র ১০ জন ডেঙ্গু রোগী ছিল। কিন্তু দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা হ্রাস পেলেও দেশের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আগামী মাসের ১ তারিখ হতে কিউলেক্স মশার বিস্তার রোধে আমরা কার্যক্রম শুরু করব।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈমসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।