সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উত্তেজিত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর পোস্ট দেয়ার অপরাধে খুলনায় উত্তম মজুমদার (৩১) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬। সে একটি সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক ফেসবুক পেজ পরিচালনা করত। দেশে বিদেশে কয়েক হাজার ফলোয়ার রয়েছে ওই পেজের।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উত্তম মজুমদার জানিয়েছে, সে ও তার কয়েকজন সহযোগী আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করানোর গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলো। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টের সে একজন মাস্টার মাইন্ড।
র্যাব জানায়, কুমিল্লার মন্দিরে অপ্রীতিকর ঘটনার সাথে বিভিন্ন উস্কানীমুলক তথ্য যোগ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা করছিল উত্তম মজুমদার। সে নিজস্ব ফেসবুক পেজ এ বিভ্রান্তিকর ও উগ্রবাদী বিভিন্ন পোস্ট করত। বিষয়টি র্যাবের নজরে এলে বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-৬ খুলনার একটি স্পেশাল কোম্পানি একটি খুলনা মহানগরীর লবণচরা থানাধীন খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে বোখারীয়া জামে মসজিদের সামনে থেকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উত্তম মজুমদার কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারকৃত উত্তম মজুমদার বাগেরহাট জেলার চিতলমারি থানার অশোক নগর গ্রামের অমল মজুমদারের ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উত্তম সাইবার অপরাধের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। উত্তম মজুমদার বরিশাল বিএম কলেজ থেকে এমএ সম্পন্ন করে খুলনায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করে আসছিলো। গত ১৩ অক্টোবর হতে উত্তম মজুমদার তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আিইডি ও পেজ থেকে বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য পোস্ট করে আসছিলো। সে নিজে ওই পেজের এ্যাডমিন এবং তার সমমনা আরও কয়েকজন ব্যক্তিকে এডমিন হিসেবে নিযুক্ত করে। খুব দ্রুতই ওই পেজের সদস্য ও ফলোয়ার কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যায়। এই ফেসবুক পেজ থেকে কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যা তথ্য প্রচার এবং উস্কানিমূলক পোস্ট প্রদান করা হচ্ছিল এবং বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও সহিংসতা বিস্তার করার অপতৎপরতা চলছিলো। ওই ফেসবুক পেজে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন নৃশংস ঘটনার ভিডিও আপলোড করে জনমনে ভয়-ভীতি তৈরিসহ উস্কানি প্রদান করা হচ্ছিলো। অভিযুক্ত উত্তম মজুমদার প্রতিটি পোস্ট হ্যাশট্যাগ করে এই দেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলো।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী উত্তম মজুমদারকে কেএমপি’র লবণচরা থানায় হস্তান্তর ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন