দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমণ শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় ২৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় কারো দেহেই করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়নি। এর আগে গত মঙ্গলবারও ১৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় কোন কোভিড রোগীর সন্ধান মেলেনি। তবে করেনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতির সাথে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল থেকেই নুন্যতম স্বাস্থ্যবিধিও বিদায় হয়েছে। শহর এলাকার ৫% মানুষও এখন মাস্ক ব্যবহার করেন না। শহরের বাইরে থেকে তা বিদায় হয়েছে অঅরো দু মাস আগে। গত এক সপ্তাহে দক্ষিণাঞ্চলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ২০ জন। কোন মৃত্যু সংবাদ ছিল না। এ নিয়ে চলতি মাসের ২৮ দিনে দক্ষিনাঞ্চলে মোট শনাক্তের সংখ্যা ২শতে পৌছল, মৃত্যু হয়েছে দুজনের। গত মাসের একই সময়ে ১ হাজার ১৬০ জন আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছিল ২৩ জনের। তবে গত এক সপ্তাহে দক্ষিণাঞ্চলে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪২ জন।
এনিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে গত ১৯ মাসে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দড়িয়েছে ৪৫ হাজার ১৭৬ জনে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৭৯ জনের। আক্রান্ত ও মৃত্যুর এ সংখ্যায় ভারী মহানগরী সহ পুরো বরিশাল জেলা। মহানগরীতে সাড়ে ১০ হাজার সহ বরিশাল জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ২৯১। মৃত্যু হয়েছে ২৩০ জনের। যারমধ্যে মহানগরীতেই মারা গেছেন ১০২ জন। তবে মহানগরী সহ এ জেলাতে ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭ হাজার ৭৬ জন।
পটুয়াখালীতে ইতোমধ্যে আক্রান্ত ৬ হাজার ২২০ জনের মধ্যে মারা গেছেন ১০৯ জন। দ্বীপজেলা ভোলাতেও আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৮৫১, মৃত্যু হয়েছে ৯১ জনের। পিরোজপুরে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ২৮৯ জনে উন্নীত হয়েছে। এ জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৮৩ জনের। সর্বাধীক মৃত্যু হারের বরগুনাতে ইতোমধ্যে ৩ হাজার ৯১৬ জন আক্রান্তের মধ্যে ৯৭ জনেরর মৃত্যু হয়েছে। গড় মৃত্যু হার ২.৪৮%। আর দক্ষিণাঞ্চলের সর্বাধীক সংক্রমনের ঝালকাঠীতে ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমনের শিকার হয়েছেন ৪ হাজার ৬০৯ জন। মারা গেছেন ৬৯ জন। সবচেয়ে ছোট এ জেলাটিতে এখনো গড় সংক্রমন হার ২৪.৩১%।
গত ১৯ মাসে দক্ষিণাঞ্চলে আক্রান্তদের মধ্যে সর্বমোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৩ হাজার ৩৭৪ জন। বৃহস্পতিবার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলে শনাক্তের হার ০% হলেও গত ১৯ মাসের গড় শনাক্তের হার ২০.৪৩%। মৃত্যুহার ১.৫০%। সুস্থতার গড়হার বৃহস্পতিবারে ছিল ৯৬.০১%।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন