বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

চীনের নতুন সীমানা আইনে উদ্বিগ্ন ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০২১, ২:৫১ পিএম

ভারতের অরুণাচল প্রদেশে চীনের সাথে সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে স্থাপিত বোফর্স কামানের সাথে অবস্থানরত ভারতীয় সেনা। ২০ অক্টোবর তোলা ছবি


চীন একটি নতুন স্থল সীমানা আইন পাস করেছে। রোববার ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চীনের সংসদ সদস্যরা এই আইন অনুমোদন করেন। ভারত এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, নতুন এই আইন দুটি দেশের দীর্ঘ-চলমান সীমান্ত বিরোধকে প্রভাবিত করতে পারে বলে।

বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ভারত আশা করে যে চীন নতুন আইনের অধীনে এমন পদক্ষেপ নেয়া এড়াবে যা একতরফাভাবে ভারত-চীন সীমান্ত এলাকায় পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পারে। তিনি বলেন, ‘ভারত আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং স্থল সীমানা রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব এবং স্থল সীমানাকে ক্ষুণ্ন করে এমন যেকোনো কাজ প্রতিহত ও প্রয়োজনে লড়াই করবে।’ বাগচি বলেন, ভারত ও চীন আগে তাদের সীমান্ত বিরোধের ন্যায্য ও পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানের জন্য সম্মত হয়েছিল। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আইনটি সীমানা বিরোধে উভয় পক্ষের দ্বারা আগে পৌঁছানো ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করবে না বা সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিকে হুমকির মুখে ফেলবে না।

লাদাখ ও অরুণাচলসহ কয়েকটি জায়গায় সীমান্ত নিয়ে চীন–ভারতের বিরোধ রয়েছে। কয়েক দফায় সীমান্ত সংঘাতের জড়িয়েছে দেশ দুটি। ভারতীয় এবং চীনা সেনা কমান্ডারদের মধ্যে তাদের সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য আলোচনা এই মাসের শুরুতে একটি অচলাবস্থায় শেষ হয়েছিল। দেশ দুইটি ১৭ মাসের স্থবিরতা সহজ করতে ব্যর্থ হয়েছে যা কখনও কখনও মারাত্মক সংঘর্ষের দিকে নিয়ে গেছে।

চীনের সংসদে গত শনিবার নতুন একটি স্থলসীমান্ত আইন পাস করা হয়েছে। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন এই আইনের উদ্দেশ্য স্থলসীমান্তের সুরক্ষা। এই আইন অনুযায়ী, চীনের সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সরকারি সংস্থা সীমান্ত এলাকায় অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি শত্রুর মোকাবিলায় স্থানীয় অসামরিক বাসিন্দাদের প্রথম ঢাল হিসেবে উপযুক্তভাবে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারবে। সেই লক্ষ্যে এসব অঞ্চলে আরও অনেক সীমান্ত শহর গড়ে তোলা যাবে।

ভারত এতে আপত্তি জানিয়েছে। দেশটি মনে করছে, দুই দেশের সীমান্তের বহু অঞ্চল এখনো বিতর্কিত ও অমিমাংসিত। এই অবস্থায় নতুন আইন অনুযায়ী কিছু করলে তা সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় ব্যাঘাত ঘটাবে। সীমান্তে অবকাঠামো তৈরিসহ অন্যান্য কাজ হাতে নিলে একতরফাভাবে সীমান্ত পরিস্থিতি বদলে যাবে। শুধু তিব্বতেই চীন ইতিমধ্যে ৬০০-র বেশি সীমান্ত শহর তৈরি করেছে বলে ভারতের দাবি। সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
jack ali ২৮ অক্টোবর, ২০২১, ৪:৪৭ পিএম says : 0
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বাদ দিয়ে সত্যিকার অর্থে যুদ্ধ করো এবং তোমরা এবং তোমাদের Army ধ্বংস হয়ে যাক আমরা তাহলে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারব
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন