বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কার মোহে সব ত্যাগ করলেন জাপানের রাজকুমারী? কে এই কোমুরো?

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০২১, ৩:৫৫ পিএম

রাজপথ নয়, জনপথই বেছে নিলেন জাপানের রাজকুমারী! প্রাসাদ নয়, রাজকুমারীর পছন্দ হবু বরের ‘ছোট্ট কুঁড়ে’! শৈশব থেকে প্রাসাদের বৈভব উপভোগ করার পর এ বার সেই বিলাসবহুল জীবনের মোহ ছেড়ে তিনি মেতে গেলেন আমজনতার স্রোতে। বিয়ে করলেন এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেকে।

পাত্রের নাম কেই কোমুরো। তিনি রাজকুমারীর বহু দিনের প্রেমিক। কলেজে পড়তে পড়তেই তার সঙ্গে আলাপ জাপানের রাজকুমারী মাকোর। রাজকুমারী মাকো তার দাদা সম্রাট আকিহিতোর মতোই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সম্রাট আকিহিতো এক সময় মনস্থির করে ফেলেছিলেন রাজদণ্ড রক্ষার গুরুদায়িত্ব তিনি আর পালন করবেন না। তখন তার বয়স ছিল ৮৩ বছর। তার নাতনি রাজকুমারী মাকোও তেমনই নিজের জীবনের গুরু সিদ্ধাম্ত নিতে পিছপা হননি।

সম্রাট আকিহিতোর তিন নাতনি মাকো, কাকো এবং আইকো। নাতি একটিই, ১৪ বছরের রাজকুমার হিসাহিতো। মাকোই তাদের মধ্যে বয়সে সবচেয়ে বড়। মাকোর বয়স এখন ৩০ বছর। সম্রাট আকিহিতোর খুব আদরের নাতনি মাকো। লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে গবেষকের কাজ নেন একটি জাদুঘরে। আর তার ৩০ বছর বয়সের প্রেমিক কেই কোমুরো কাজ করেন টোকিওর একটি আইন সংস্থায়। খুব একটা উঁচু পদে কাজ করেন তিনি, এমনটা নয়।

তবে মা, বাবার কাছ থেকে কোমুরোকে কখনও লুকিয়ে রাখেননি রাজকুমারী মাকো। তাদের সঙ্গে অনেক আগেই কোমুরোর আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন রাজকুমারী। কোমুরোর সঙ্গে মাকোর প্রথম দেখা ২০১২ সালে। মাকো তখন রাজপরিবারের প্রথা ভেঙে টোকিওর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। সেখানেই দু’জনের আলাপ।

মাকোর ছিল বৈভবে ভরপুর জীবন। ঠিক তার উল্টো ছিল কোমুরোর জীবন। একা মায়ের কাছেই বড় হওয়া তার। আর্থিক অবস্থা তেমন ভাল ছিল না। কোমুরোর পড়াশোনার খরচ অনেকাংশে বহন করেছিলেন মায়ের সাবেক প্রেমিক। টোকিও পর্যটন শিল্পের জন্য কাজ করেও উপার্জন করতেন কোমুরো। চার বছর আগে জোড় বাঁধার পাকাপাকি সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেছিলেন তারা। তা নিয়ে হই হই পড়ে গিয়েছিল জাপান জুড়ে। ভালবাসার টানে বরাবরের জন্য প্রাসাদ ছেড়ে রাজকুমারী চলে যাবেন সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে, মন থেকে অনেকেই এটা মেনে নিতে পারছিলেন না।

২০১৭ সালে তাদের বাগদান হয়েছিল। সম্প্রতি তারা আনুষ্ঠানিক বিয়েও করলেন। নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণ পরিবারে বিয়ে করায় রাজপরিবারের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছেদ করতে হয় মাকোকে। রাজ পরিবারের ১৩ ডলার সম্পত্তিও আর দাবি করবেন না তিনি। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় ১২ কোটি টাকা। জাপানের রাজপরিবারের ঐতিহ্য আর প্রথা মেনে বিয়ের কোনও রীতিও পালন হয়নি।

প্যাস্টেল রঙের ফুলহাতা পোশাক আর হাল্কা মুক্তোর গয়না পরে নিজের বাড়ি ছাড়েন মাকো। মেয়েকে বিদায় জানাতে রাজপ্রাসাদের দরজা পর্যন্ত এসেছিলেন মাকোর বাবা, জাপানের বর্তমান সম্রাট নারুহিতোর ভাই, যুবরাজ ফুমিহিতো। ছিলেন মাকোর মা যুবরানী কিকো কাওয়াশিমা এবং বোন কাকো-ও। সূত্র: বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ২৮ অক্টোবর, ২০২১, ৪:২১ পিএম says : 0
তোমাদের জন্য সবাই শুভ কামনা করবে,
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন