শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

হতাশ হওয়ার কারণ নেই, পরিবর্তন আসবেই : মির্জা ফখরুল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০২১, ৭:২২ পিএম

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্বাভাবিকভাবেই আমি যেহেতু রাজনীতি করি, একটা বড় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি, আপনারা আমাকেই জিজ্ঞাসা করবেন, কবে এই অবস্থা থেকে বের হতে পারব? আমি সরাসরি উত্তর দিতে চাই, আমরা অবশ্যই বের হতে পারব, ইনশায়াল্লাহ। হতাশ হওয়ার কারণ নেই। পরিবর্তন আসবেই। কারণ, এদেশের মানুষ কখনোই পরাজয়বরণ করেনি। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী সংবর্ধনা গ্রন্থ’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, পাকিস্তান থেকে শুরু করে, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, মানুষ যখন জেগে উঠেছে তখন অবশ্যই পরিবর্তন হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, পরিবর্তন আসবেই, হতাশার কোনো কারণ নেই। বাংলা একাডেমির সাবেক মহা-পরিচালক অধ্যাপক মনসুর মুসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি নেতা আনম এহসানুল হক মিলন, ঢাবির সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর ইউসুফ হায়দার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) একাংশের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক ও কবি আব্দুল হাই সিকদার। মির্জা ফখরুল বলেন, ‌আমাদের সময় শিক্ষকদের একটা সম্মান ছিল। আনোয়ার উল্লাহ সাহেবরা যখন হেঁটে আসতেন, তখন শিক্ষার্থীরা মাথানত করে সম্মান জানাত। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের বক্তব্য যখন শুনি তখন লজ্জা হয়। ৫০ বছরে আমরা এমন একটা শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করলাম যেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আমার লোক হতে হবে। হয়তো আমার এ কথায় অনেকে কষ্ট পাবেন, কিন্তু আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, আমরা এরকম একটা ব্যবস্থায় চলে গেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, কিছুক্ষণ আগে একজন সাংবাদিক আমাকে জানালেন যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ১৭টি নথি খোয়া গেছে। শাহবাগ থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। এই হচ্ছে বর্তমান সরকারের শাসকদের এবং শাসন ব্যবস্থার প্রকৃত চিত্র। একটা নয়, প্রত্যেকটি জায়গায় চরম নৈরাজ্য চলছে। লক্ষ্য একটিই কীভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়। মানুষের কল্যাণ, দেশের কল্যাণের দিকে কারও নজর নেই। আমরা করোনার সময় দেখেছি ভয়াবহ অবস্থা, মানুষের আহাজারি, সেই সময় দেখেছি কী করে তারা অর্থ উপার্জন করবেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজির ড্রাইভার চারশ’ কোটি টাকার মালিক। এই যে একটা অবস্থা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ১৬৯ জনকে একরাতে নিয়োগ দিলেন, উদ্দেশ্য কিছু উপার্জন করা। এই যে একটা সমাজ আমরা তৈরি করেছি, এই সমাজ থেকে ভাল কিছু পাওয়ার আশা করা খুব কঠিন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Md Rejaul Karim ৩০ অক্টোবর, ২০২১, ৯:৩৮ পিএম says : 0
আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন তিনি চাইলেই এক মুহুর্তের মধ্যে আপনার আমার তথা দেশের অবস্হার পরিবর্তন করতে পারেন!!!
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন