পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় মো. সজিব (২২) নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার রাত ১০টায় উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের কলেজ সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সজিব ওই ইউনিয়নের নিজবটকাজল গ্রামের বাসিন্দা নাসির প্যাদার ছেলে।
আহত সজিবকে শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে পুলিশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎস্যক মো. তাসিফুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রোপচারের আগে বলা যাবে না ওটা কি? তবে তাঁর ঘাঁড়ের বাঁ দিক দিয়ে ফরেন জাতীয় কিছু একটা ঢুকেছে সেটা নিশ্চিত।
এলাকায় বর্তমানে এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করলেও পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত ১০টার দিকে চেয়ারম্যানপ্রার্থী মো. কামাল হোসেন বিশ্বাসের নৌকার সমর্থক এবং বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাদা হাওলাদারের ঘোড়া প্রতীকের সর্মকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক সজিব নামে ওই যুবক।
শাহজাদা হাওলাদার বলেন,‘জনসমর্থন নাই বলে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করছে নৌকার প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকেরা। পুলিশের উপস্থিতিতে আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর গুলি করে আহত করা হয়েছে।
অভিযোগ অস্বিকার করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট কামাল হোসেন বিশ্বাস বলেন, আমার কর্মীদের ওপর কোন কারন ছাড়াই হামলা করা হয়েছে। ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকদের ছোড়া গুলিতেই ঘোড়ার সমর্থক আহত হয়েছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন,‘গুলি ছোড়ার বিষয়টি সত্য না। তবে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়েছে। যা পুলিশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন