স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে আজ থেকে শুরু হয়েছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬। চলবে আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে যে কার্বন নিঃসরণ বন্ধের লক্ষ্যে আয়োজন কপ-২৬; সেই সম্মেলনের কেন্দ্রই বছরের পর বছর ভয়াবহ মাত্রায় কার্বন নির্গমন করে আসছে। শুধু তাই নয়, সম্মেলন কেন্দ্রের অদূরেই মিলেছে মিথেন গ্যাসের ব্যাপক উপস্থিতিও।
আজ রোববার যে স্কটিশ এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্স সেন্টারে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজের (কপ) ২৬তম আয়োজন; সেই এলাকাটিও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে মুক্ত নেই।
গত তিন বছর আগে গ্লাসগোয় তাপমাত্রা উঠেছিল ৩১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তাতে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আকর্ষী গ্লাসগো সায়েন্স সেন্টার ভবনের পানিরোধী আবরণটি গলে গলে পড়ছিল। এই সেন্টার ঘেঁষা নদীর ওপারেই সম্মেলনস্থল স্কটিশ এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্স সেন্টার।
১৮৮৪ সালে তাপমাত্রার রেকর্ড সংরক্ষণের পর সেই বছরের জুন মাসে গ্লাসগোয় গড় তাপমাত্রা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছিল। অথচ তখনই গ্লাসগোর বন্দর শহর ড্রামচ্যাপেল ভেসেছিল বন্যায়, সেই বন্যার কারণ ছিল অতিবৃষ্টি।
স্কটল্যান্ডের সবচেয়ে জনবহুল নগরী গ্লাসগোর ৪৫ হাজার বাড়ি এখন বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। নগর কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা করছে, ২০৮০ সাল নাগাদ এই সংখ্যাটি ৬০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
যে ক্লাইড নদীটি পুরো গ্লাসগোর ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। জোয়ার-ভাটার এই নদীর প্রাণিপ্রবাহে প্রভাব ফেলছে সমুদ্র তলের উচ্চতা বৃদ্ধি, সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে অনিয়মিত ঝড়।
কিছু দিন আগেই অতিবৃষ্টিতে ভেসেছিল গ্লাসগোর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো। সায়েন্স সেন্টারও মাঝারি আকারের বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। অতিবৃষ্টির যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা আরও এলাকাকে বন্যার ঝুঁকিতে ফেলছে।
এই পরিস্থিতিতে গ্লাসগো নগর কর্তৃপক্ষ আগামী এক দশকে কোটি কোটি ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে। এর লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তাদের ভবন ও অবকাঠামোগুলো রক্ষা, কারণ যে নকশায় এগুলো নির্মিত হয়েছিল, তা এখন টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে উঠেছে। সূত্র : বিবিসি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন