শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

গ্লাসগো সম্মেলনে ৬ প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২১, ৮:৩৮ পিএম

সিভিএফ এবং কমনওয়েলথের মধ্যে কার্যকর সহযোগিতার জন্য ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। আজ সোমবার গ্লাসগোতে কোপ২৬ সম্মেলনস্থলের কমনওয়েলথ প্যাভিলিয়নে ‘সিভিএফ-কমনওয়েলথ হাই-লেভেল ডিসকাসন অন ক্লাইমেট প্রসপারিটি পার্টনারশিপ’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এই প্রস্তাব পেশ করেন। -বাসস

প্রস্তাবের প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌‘আমাদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য টেকসই, সবুজ এবং প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান অর্জনে আমাদের মধ্যে জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া, গবেষণা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি স্থানান্তর বাড়াতে হবে।’ দ্বিতীয় দফায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অভিন্ন অবস্থান প্যারিস চুক্তিতে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, উন্নত দেশগুলোকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়নের লক্ষ্যে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার সুরক্ষিত করতে আমাদের সাহায্য করতে পারে। জলবায়ু অর্থায়ন হতে হবে বিদ্যমান এবং ভবিষ্যত ওডিএ’র অতিরিক্ত। এই পরিমাণটি অভিযোজন এবং প্রশমনের মধ্যে ৫০ : ৫০ অনুপাতের সঙ্গে বরাদ্দ করা উচিত।’

তৃতীয়ত, তিনি বলেন, ‘জলবায়ু অভিবাসীদের সমস্যা-জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদীভাঙন, বন্যা এবং খরার কারণে মানুষ তাদের পৈতৃক ভিটা এবং ঐতিহ্যবাহী পেশা থেকে চ্যুত হয়েছে, যা আলোচনা করা দরকার এবং এইসব মানুষের পুনর্বাসনের জন্য বিশ্বব্যাপী দায়িত্ব নিতে হবে।’ চতুর্থ দফায়, তিনি বলেন, ‘আমাদের ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রিতে রাখতে তাদের উচ্চাভিলাষী এবং আগ্রাসী এনডিসি ঘোষণা করতে প্রধান নির্গমনকারী দেশগুলোর ওপর চাপ হিসেবে কাজ করতে পারে। এ ছাড়া, জ্বালানির প্রয়োজনীয়তা মেটানোসহ সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নয়নশীল দেশগুলেতে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ প্রযুক্তি হস্তান্তর করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রধানমন্ত্রী তার পঞ্চম দফায় বলেন, ‘একই সাথে, সিভিএফ এবং কমনওয়েলথ সদস্যদের উন্নয়ন চাহিদা বিবেচনায় নিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সর্বোপরি একসাথে আমাদের অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাস্তবসম্মত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত সমাধানগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘সিভিএফ-এর ৪৮ সদস্য দেশ মোট বৈশ্বিক নির্গমনের মাত্র ৫ শতাংশের জন্য দায়ী, অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব আমাদের জীবন ও জীবিকার জন্য মৌলিক হুমকি সৃষ্টি করেছে।’

ষষ্ঠ দফায় তিনি বলেন, অধিকন্তু, কোভিড-১৯ মহামারি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শক্তিশালী, সাহসী এবং দায়িত্বশীল পদক্ষেপের জন্য কার্যকর সহযোগিতা এবং সহযোগিতার তাৎপর্য প্রমাণ করেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়ন এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য আমাদের দুর্বলতা এবং প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই স্বীকৃতি দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে, প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধান নির্গমনকারী দেশগুলোকে ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের প্রচেষ্টায় আমাদের সমর্থন করার জন্য তাদের বাধ্যবাধকতা’ পূরণ করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
Md Mazidul Islam Rkh ১ নভেম্বর, ২০২১, ৯:৪৮ পিএম says : 0
তাপমাত্রা বৃদ্ধি মূল কারণ হচ্ছে কোটিপতিদের বিলাসিতা কমাতে হবে। শিল্প অঞ্চল শহর থেকে সরিয়ে গ্রামের নিতে হবে শিল্প অঞ্চল একসাথে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেওয়া যাবে না ইত্যাদি।
Total Reply(0)
Moin Khan ১ নভেম্বর, ২০২১, ৯:৫০ পিএম says : 0
এখন সবচেয়ে বেশী জরুরী হলো রোহিঙ্গা সমস্যা, এটা নিয়ে রিপোর্ট ও আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করুন।
Total Reply(0)
Kajal Motahar Alam ১ নভেম্বর, ২০২১, ৯:৫১ পিএম says : 0
বিশ্বে যে দেশ যত উন্নতি করেছে সেই দেশ তত পরিবেশের ক্ষতি সাধন করেছে। উন্নতির এই প্রতিযোগিতা করতে যেয়ে পরিবেশের অবনতির চিন্তা কেউ করে নাই। আজ বিশ্বের ধ্বনি দেশ গুলো পরিবেশ দূষনের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পরে পরিবেশের উন্নতির কথা চিন্তা নাহ করে মঙ্গল গ্রহে পারি দিতে চলেছে। তাহলে আমরা বলতোই পারি পৃথিবী ধ্বংসের পথে যা আদৌ রোধ করা যাবে নাহ বা রোধ করা হবে নাহ
Total Reply(0)
Sarowar Sohel ১ নভেম্বর, ২০২১, ৯:৫১ পিএম says : 0
প্রকৃতির সাথে মানুষের ভালোবাসায় গড়ে উঠুক..
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন