মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গত রোববার বেলা দেড়টায় একটি ভাড়া মাইক্রোবাসে (হাইয়েস) এসে সন্ত্রাসীরা রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসন (৩৪)কে কুপিয়েছিল। পরে সেখান থেকে সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা সন্ধ্যার পর মারা যান। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার বেলা ২টা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা না হলেও ভাড়ায় আনা মাইক্রোবাসটি জব্দ করেছে থানা পুলিশ। সাথে সাথে মাইক্রোবাসের চালক আমির হোসেন হিরা (৪০) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। তার বাড়ি মৌলভীবাজার সদর থানা এলাকায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার স্বজনদের একজনের মুঠোফোনে লাইভে হত্যাকান্ডে অংশ নেওয়া ৪ জনের নাম প্রকাশ করেছিলেন নিহত ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান। তারা হচ্ছেন- রাসেল, মাসুদ, তফজ্জুল ও তোফায়েলসহ আরো অনেক।
এদিকে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। রহিমপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আজির উদ্দীন সোমবার বলেন, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় ব্যবসায়ী নাজকুল হাসান এই চারজনের নাম মুঠোফোনে লাইভ ভিডিওতে প্রকাশ করেছিলেন। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগেযোগ মাধ্যম এফবিতে প্রচারও হয়েছে।
সোমবার চৈত্রঘাটের লোকজন জানান, ধলাই নদীর বালুর মহাল নিয়ে ও এ বাজারের দোকান ঘর নিয়ে এলাকায় দুটি দলে বিভক্তি রয়েছে। বালু মহাল দখল নিয়ে গত দেড় মাসে রহিমপুর ইউনিয়নে এ দুটি পক্ষের মাঝে ৩ বার রক্তক্ষীয় সংঘর্ষ ও থানায় মামলা হয়েছে। এসবের বিরাধের জের ধরেই রোববার ব্যবসায়ী নেতা নাজমুল হাসনকে কুপিয়েছিল সন্ত্রাসীরা।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা সোমবার দুপুরে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে রোববার সন্ধ্যার পর মৌলভীবাজারের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সার্কেল) শহিদুল ইসলাম মুন্সী, কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি আরও বলেন,এই চৈত্রঘাট বাজারটি সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত। তাই তদন্তের জন্য সিসি ফুটেজ দেখা হবে।
তিনি আরও বলেন, আজ ময়না তদন্ত শেষে লাশ দাফন করে হয়তো নিহতের পরিবারের পক্ষে থানায় মামলা দিবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন