কুষ্টিয়ায় জমি কেনা নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ২ ভাতিজার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরোও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নৃসিংহপুর (রসুনপুর) গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে ইটাল ও আজম। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ পাহারায় তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জমি কেনা নিয়ে বিরোধের জেরে ২০১০ সালের ৩ জুন সকালে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আপন চাচা তহির উদ্দিনকে রক্তাক্ত জখম করে ইটাল ও আজম। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রাজপাড়া থানা পুলিশ তার লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। পরদিন নিহত তহির উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে পুলিশের এসআই সৈয়দ আশিকুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। নিহত তহির উদ্দিনের স্বজনরা রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তহির উদ্দিনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন আসামিরা। ১১ বছর পর আসামি আজম ও ইটালের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে আমরা খুশি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন