শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আওয়ামী লুটেরা সিন্ডিকেটের স্বার্থে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

বাজারে পণ্যের পর্যাপ্ত সরবারহ থাকলেও শুধু আওয়ামী লুটেরা সিন্ডিকেটের স্বার্থেই দ্রব্যমূল্য বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, বাজারে গেলে কোনো জিনিসপত্রের অভাব নেই। অথচ দাম বেশি। সাধারণত যখন জিনিসপত্রের দুষ্প্রাপ্য হয়, চাষ অথবা উৎপাদন কম হয়, বাজারে সরবারহ কম হয়, ক্রেতার সংখ্যা বাজারে বেশি থাকে তখন দ্রব্যমূল্য বাড়ে এটাই অর্থনীতির নিয়ম। কিন্তু জিনিসের জায়গায় জিনিস আছে, সব উৎপাদনে আছে। মাঝখানে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে- এটা কার স্বার্থে? শুধুমাত্র আওয়ামী লুটেরা সিন্ডিকেটের স্বার্থে।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিনিসপত্রের দামের সাথে আরো অনেক কিছুর দাম বাড়ছে। চোর-ডাকাতের দাম বাড়ছে, ছিনতাইকারী, ঘুষখোর পুলিশের দাম এবং ঘুষখোর আমলাদের দাম বাড়ছে। যারা রডের বদলে বাঁশ দিয়ে ঢালাই করে তাদের দাম বাড়েছে। অর্থ্যাৎ দুনিয়ার চোর, খারাপ লোকদের দাম বাড়ছে। দাম কমছে মানুষের মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার মূল্যবোধের, দাম কমছে সৎ লোকের। যারা দিন আনে দিন খায়, যারা পরিশ্রমী করার মধ্য দিয়ে জীবন-যাপন করে।

দেশে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নেই দাবি করে তিনি বলেন, মুসলমানরা নিরাপদ না, হিন্দুরা নিরাপদ না, প্রান্তিক-ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠি নিরাপদ না। নিরাপদ কিভাবে থাকবে যেদেশে গণতন্ত্র থাকে না। নিরাপদ আছে দুর্নীতিবাজরা, ঘুষখোররা, যারা দরাজ কন্ঠে টেলিভিশনে গিয়ে মিথ্যা কথা বলে। সাম্প্রতিক ঘটনার ওপর সরকার কিছু দালাল তৈরি করেছে টেলিভিশনে ওরা চমক চমক কথা বলে। এই দালালদেরকে চিনেন না, ওদের পথে ঘাট পান না। তাদেরকে মাঝে-মধ্যে কিছু উপহার-টুপুহার দিতে হয়। তা নাহলে ওদের দালালী বেড়ে যাবে। বর্তমান অবস্থা থেকে পরিত্রাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিতেও নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান গয়েশ্বর।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী গেছেন গ্লাসগোতে। বাহ! দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচাইতে বেশি বায়ু দূষণের হার হচ্ছে ঢাকায়। আজকে ঢাকাকে একটা বিষাক্ত গ্যাস চেম্বার, চট্টগ্রাম বিষাক্ত গ্যাস চেম্বার, বাংলাদেশের শহরগুলো বিষাক্ত গ্যাস চেম্বার, বাংলাদেশ বিষাক্ত গ্যাস চেম্বার। উনি বাংলাদেশের গাছ-মাছ-পানি উনি উজাড় করে দিচ্ছেন। আর উনি (শেখ হাসিনা) গেছেন বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে। কত স্ববিরোধিতা হলে এমন করতে পারে ।
সুন্দরবনে কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল বিরোধী দল, পরিবেশবাদীরা, নাগরিক সংগঠন সবাই বলেছে, খুলনার বাগেরহাটের রামপালে কয়লা পুঁড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে না। এমনকি যাদের কাছ থেকে এই কয়লা নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবেন সেই পার্শ্ববর্তী দেশ তাদের ওখানে কিন্তু কয়লা পুঁড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে না। যে প্রধানমন্ত্রী তার নিজের দেশের সুন্দরবন উজাড় করে দেয়ার জন্য রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে পারেন তিনি গেছেন বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু আশফাক খন্দকারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, ঢাকা জেলার তমিজউদ্দিন আহমেদ, মো. নাজিমউদ্দিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন