ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই নাারয়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রার্র্র্থী মো. ওমর ফারুক-এর ওপর সরকার দলীয় প্রার্থী বাদল বাহিনীর নির্মম ও বর্বরোচিত হামলা করে সরকার আবারো প্রহসনের নির্বাচন দিয়ে জাতির সাথে ধোকাবাজি করছে। সরকার দলীয় প্রার্থীর পরাজয় নিশ্চিত তা বুঝতে পেরে চোরাগুপ্তা হামলার পথ বেছে নিয়েছে। সরকার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় ক্যাডার ও সন্ত্রাসীদের মনোনয়ন দিয়ে সারাদেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। স্থানীয় নির্বাচনকে কলুষিত করছে। অবিলম্বে সারাদেশে হাতপাখার ইউপি প্রার্থীদের ওপর সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের হামলা নির্যাতন বন্ধ করুন।
গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, হাতপাখার প্রার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, হাতপাখার প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম ছিনিয়ে নেয়ার মত ঘটনা এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহারে চাপপ্রয়োগ করে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে আবারো প্রশ্নবিদ্ধ করলো। তিনি বলেন, কাশিপুরে হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলাকারী বাদল বাহিনীর সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে, সেইসাথে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মানুষ ভোট দেয়াই ভুলে যাচ্ছে। তাই ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে হলে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি সম্ভব।
তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও বাংলাদেশের ক্ষমাতাসীন রাজনৈতিক দলের কাছে জনগণের ভোটের কোন মূল্য নেই। সুস্থ্য ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি এদেশে এখনো গড়ে ওঠেনি। বড় রাজনৈতিক দলগুলো মুখেই শুধু গণতন্ত্রের চটকদার শ্লোগান দেয় আর ক্ষমতায় গিয়ে তারা সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়। তিনি বলেন, এখন নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আলোচনার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে; তা নিয়ে আলোচনা করা। গত দু’টি জাতীয় নির্বাচনে আমাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। আগামীতেও এর পুনরাবৃত্তি ঘটুক আমরা তা চাই না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন