শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

নাসার ‘মিশন আত্মনির্ভর’, মহাকাশে কাঁচা মরিচ চাষ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০২১, ৩:৫০ পিএম

পৃথিবীর বাইরে মহাকাশেও এখন মিলছে কাঁচা মরিচের স্বাদ। চিলি পিপার ফার্মিং-এ সফল নাসা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে কাঁচা মরিচ চাষ নতুন চমৎকার নাসার। সেই লঙ্কাই এখন খাদ্য নভোচারীদের। এই সাফল্য থেকে মহাকাশে খাবারের ব্যাপারে মহাকাশচারীদের আত্মনির্ভর করার স্বপ্ন দেখছে নাসা।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে আমেরিকার মহাকাশচারী মেগান ম্যাকআর্থার একটি টুইট করেছেন, ‘ফ্রাইডে ফিস্টিং’। শুক্রবারের মহাভোজ। এখন তার সঙ্গে মহাকাশে রয়েছেন আরও ছয় মহাকাশচারী। তাদের জন্য শুক্রবারের ভোজে তৈরি হয়েছিল, মেক্সিকান খাবার ট্যাকো। রান্না করে মেগানের বক্তব্য, এটাই নাকি মহাকাশে রাঁধা শ্রেষ্ঠ ট্যাকো। ঝালভরা সেই ট্যাকোর ছবিও দিয়েছেন মেগান। এই লঙ্কাচাষের নেপথ্যে কিন্তু বড়সড় মিশন রয়েছে নাসার।

স্পেস স্টেশনে সাধারণ ভাবে প্যাকেজড ফুডই পাঠায় নাসা। রি-সাপ্লাই মিশনে পাঠানো হয় কিছু টাটকা খাবারও। এখন নাসার লক্ষ্য, চাঁদ কিংবা মঙ্গলে মহাকাশচারী পাঠানো। এর জন্য পুরোপুরি প্যাকেজড ফুডে নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। তাই মহাকাশচারীরা যাতে কিছু সব্জি স্পেস স্টেশনেই উৎপাদন করতে পারেন, সেই পরিকল্পনাই রয়েছে নাসার। ২০১৫ সাল থেকে এ নিয়ে গবেষণা চলছে। ১০টি সব্জি চাষ হয়েছে স্পেস স্টেশনে। সেই তালিকায় এলো কাঁচা মরিচ। এটি চাষ করাও বেশ সহজ। এমনিতেই কাঁচা মরিচ বেশ শক্তপোক্ত গাছ। নিজে থেকে পরাগমিলনও হয় কাঁচা মরিচ গাছে। জীবাণুর হামলাও কম হয় কাঁচা মরিচে।

সারা পৃথিবীর ১২টি প্রজাতির কাঁচা মরিচ মহাকাশে চাষ করার জন্য বেছে নেয় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার। শেষ পর্যন্ত বাছা হয় নিউ মেক্সিকোর হ্যাচ চিলি পিপার। ৩ জুন তা মহাকাশে পাঠানো হয়। ছড়ানো হয় ৪৮টি বীজ। ১২ জুলাই থেকে শুরু পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এতে মেলে সাফল্য। গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন জানায় ফলেছে তাদের সাধের কাঁচা মরিচ। সেই কাঁচা মরিচকুচি পাতে ফেলেই দিয়েই ভোজ সারলেন মহাকাশচারীরা। সূত্র: টিওআই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন