মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কেবল ক্যারিশম্যাটিক নেতাই ছিলেন না, তিনি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রশাসকও ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে জয়তী প্রকাশিত তাকী জোবায়ের রচিত ‹বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ উয়ন্নন ভাবনা› শীর্ষক গবেষণাগ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন ও প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বল্প সময়ের মধ্যে পৃথিবীর অন্যতম সেরা সংবিধান প্রণয়ন করেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্যের পাশাপাশি গবেষণা, এমনকি প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনের জন্যও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শুধু দেশ স্বাধীনই করেননি, দেশ কীভাবে চললে উন্নত ও মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে তার পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনাও দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত হতো।
তিনি বলেন, কুটনীতিক হিসেবেও অনন্য ছিলেন বঙ্গবন্ধু। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের মিত্রবাহিনীর সদস্যরা এখনও বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে, কিন্তু বঙ্গবন্ধু মাত্র ৩ মাসের মধ্যে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের নিজ দেশে ফেরত পাঠান। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে পুনর্গঠন করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা নয়। বঙ্গবন্ধু ২৩ বছরে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য ধাপে ধাপে প্রস্তুত করেছেন। পাকিস্তানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে অনেক নেতা কথা বললেও, প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শাসনব্যবস্থার বিভিন্ন দিক নিয়ে আরও গবেষণা করতে গবেষকদের প্রতি আহবান জানান।
ছড়াকার আনজীর লিটনের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, অতিরিক্ত সচিব শেখ মো. কাবেদুল ইসলাম, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ শামস -উল ইসলাম, রুপালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী, লেখক ও গবেষক ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার, কবি সৌমিত্র দেব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন