চলমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গতবছরের মতো এবারও আয়কর মেলার আয়োজন করছে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে করদাতাদের সুবিধায় সব কর অঞ্চলে নভেম্বর মাসজুড়ে আয়কর মেলার সুবিধা দেওয়া হবে। অনেকেই আয়কর মেলায় রিটার্ন জমা দিতে আগ্রহী থাকেন। কারণ, মেলায় রিটার্ন জমা দিতে সময় লাগে কম, ভোগান্তিও কম হয়। ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণের কারণে মেলা করেনি এনবিআর। এখন করোনার প্রকোপ কমেছে। এ অবস্থায় করদাতাদের অনেকেই ধারণা করেছিলেন এ বছর আয়কর মেলা হবে।
সেগুনবাগিচায় এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মু. রহমাতুল মুনিম জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবারও আয়কর মেলা হচ্ছে না। তবে মেলা না হলেও ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কর সংস্কৃতির বিকাশ, করদাতাদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কর সেবা প্রদান করা হবে। দেশব্যাপী ৩১টি কর অঞ্চলের ৬৪৯টি সার্কেলে অফিস চলাকালীন নিরবচ্ছিন্নভাবে আয়কর রিটার্ন গ্রহণ করা হবে। করদাতাদের তাৎক্ষণিক প্রাপ্তি স্বীকারপত্রও দেওয়া হবে।
জানা যায়, ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর কর মেলার আয়োজন করে আসছে এনবিআর। বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবের মেলায় গিয়ে করদাতারা যেতেন আয়কর জমা দিতে। আয়কর মেলাটি করদাতাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। এবার তা না হওয়ায় অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (করনীতি) আলমগীর হোসেন বলেন, মেলা হলে জনসমাগম হবেই। এতে করোনা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। কর অঞ্চলে রিটার্ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলায় রিটার্ন জমা দেওয়া যায় মাত্র তিন থেকে চারদিন। কিন্তু আমরা ৩০ দিন মেলার সকল সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আয়কর মেলার মতোই কর অঞ্চলের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। কর অঞ্চল খুঁজে পাওয়া নিয়ে করদাতাদের ভোগান্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা একবার রিটার্ন জমা দিয়েছেন, তাদের জন্য কর অফিস খুঁজে পাওয়া কঠিন নয়। এ ছাড়া এনবিআরের ওয়েবসাইটে কর অঞ্চলের ঠিকানা, সংশ্লিষ্ট কমিশনারের নাম ও মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে।
সাধারণত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রাজধানী ঢাকা, বিভাগ, জেলা, উপজেলাসহ দেশজুড়ে কর মেলার আয়োজন করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় শুধু বাংলাদেশেই করদাতাদের জন্য এ ধরনের মেলা হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালের মেলায় প্রায় ২৫ লাখের মতো রিটার্ন জমা পড়েছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন