বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাম্প্রদায়িক হামলা এদেশে হয়, কারণ আওয়ামী লীগ মনে করে হিন্দুরা তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি এবং সেভাবেই তাদের সাথে ডিল করে। দেশ স্বাধীনের পর থেকে জরিপ করে দেখা যাবে, এই ঘটনাগুলো বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই হয়েছে। আর এবারের সব ঘটনাতেই আওয়ামী লীগ সরকার জড়িত, সেগুলো তো পত্রপত্রিকায় চ্যানেলে দেখানো হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কয়দিন আগে বলেছেন দেশে কোনো মন্দির ধংস হয়নি। আমি আশা করি এসব বিষয় আমার হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইবোনেরা ভালোভাবেই জানেন।
গতকাল ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়িতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ যে উন্নয়ন করছে তা দেশের উন্নয়ন না, দুর্নীতির উন্নয়ন। তারা যে মেগা প্রজেক্টগুলো করেছে সেগুলো করাই হয়েছে মেগা দুর্নীতির জন্য। সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা হিসেবে দাবি করা পদ্মা সেতুর প্রশ্নে বলেন, যেখানে এই প্রজেক্টটা শুরু হয়েছিলো ১০ হাজার কোটি ডলারের বাজেটে তা এখন দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার কোটি ডলারে। এভাবে সবগুলো মেগা প্রজেক্টকে বাড়িয়ে সরকারের শীর্ষ নেতারা এগুলো থেকে লুটপাট করে নিজেদেরকে বিত্ত বৈভবে সমৃদ্ধ করেছেন।
তারেক জিয়া লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করছে, সাহস থাকলে দেশে এসে রাজনীতি করুক, আওয়ামী লীগের এ দাবির প্রশ্নে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২০০৮ সালে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের অবৈধ সরকারের সাথে আঁতাত করে আওয়ামী লীগ তখন থেকেই তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেন। তারেক জিয়ার কোথাও কোনো ব্যাংক একাউন্ট বা লুটপাটের প্রমাণ না পেলেও তাকে অপপ্রচারের মাধ্যমে কলুষিত করার অপচেষ্টা করে আসছে। বিপরীতে দেশে গণতন্ত্র না থাকায়, অলিখিত সেন্সরশীপ চালু থাকায় তারেক জিয়া সম্পর্কে বিএনপি সত্য কথা প্রকাশ করার সুযোগ পায়নি। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আপনারা নির্দলীয় তত্ববধায়ক সরকার গঠন করে নির্বাচন দিন, তাহলে তারেক জিয়া দেশে আসার পর যে গণজোয়ার শুরু হবে, সেটা আপনারা সামলাতে পারবেন তো?
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, যুগ্ম সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন