শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে চরম দুর্নীতি, ভোগান্তি : বিবিসি

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৩৮ এএম

২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের এক তারিখ থেকে স্কুলে ভর্তি, এসএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন, পাসপোর্টের জন্য আবেদনসহ আরো কিছু ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু নাগরিকরা বলছেন, অনলাইনে আবেদন করার প্রক্রিয়ায় সমন্বয়হীনতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ভুক্তভোগী-১
বছর দু'য়েক আগে নদী ভাঙনে ঘর হারানোর পর শেফালি আক্তার পুরনো ঢাকায় একটি ভাড়া বাসায় দুই সন্তান নিয়ে বসবাস শুরু করেন। আগামী বছর দুই সন্তানকে স্থানীয় একটি স্কুলে ভর্তি করাতে চান। তাই স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে যান ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একটি আঞ্চলিক অফিসে। কিন্তু তার ঠিকানা যাচাই সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হওয়ায় তিন-চারদিন ঘুরেও পারেননি সনদ জোগাড় করতে।
শেফালি আক্তার বলছেন, নদীর ভাঙনে ঘর হারানোর পর তার স্থায়ী ঠিকানা বলে কিছু নেই। তাই নিবন্ধন ফর্মে বর্তমান ঠিকানার জায়গায় ভাড়া বাসার ঠিকানা সংযুক্ত করে ঐ বাসার বিদ্যুৎ বিলের কপি নিয়ে গিয়েছিলেন প্রমাণ হিসেবে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিলে বাড়িওয়ালার নাম থাকায় নিবন্ধন অফিসের কর্মকর্তারা তার আবেদন গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন আক্তার।
তিনি বলেন, 'কর্মকর্তারা বলছেন বিদ্যুৎ বিলে আমার নাম না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। কিন্তু আমি ভাড়া বাসায় থাকি, বিলে আমার নাম কীভাবে থাকবে?'
'তারা আবেদনপত্র গ্রহণও করছে না, সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যাবে তাও বলছে না। এখন পর্যন্ত জানি না সনদ কীভাবে পাবো।'

ভুক্তভোগী-২
সন্তানদের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন চট্টগ্রামের পটিয়ার বাসিন্দা সাজিয়া আক্তারও। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, ২০০১ সালের পর যাদের জন্ম তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ করতে বাবা-মা'র জন্ম নিবন্ধন নম্বর প্রয়োজন হয়। কাজেই সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে মিজ আকতারের নিজেরও নতুন করে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরির প্রয়োজন পড়ে।
নিজের জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে গিয়ে নতুন ঝামেলায় পড়েন তিনি। 'আমার বাপের বাড়ি যে ইউনিয়নে, ফর্ম পূরণ করে সেই ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে যাওয়ার পর বলে যে আমার বাবা-মা'র জন্ম নিবন্ধন নম্বর লাগবে। আমার মা-বাবা অনেক বছর আগেই মারা গেছেন, এখন তাদের জন্ম নিবন্ধন কিভাবে করবো।'
সাজিয়া আক্তারের মতো একই অভিযোগ পাওয়া গেছে আরো বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে। যদিও নিয়ম অনুযায়ী ২০০১ সালের আগে যাদের জন্ম তাদের জন্ম নিবন্ধন করতে শুধু জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর প্রয়োজন হওয়ার কথা।

ভুক্তভোগী-৩
সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন সনদ করাতে গিয়ে আজিমপুরের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান উজ্জলের অভিজ্ঞতা আরো হতাশাজনক।
তিনি বলছিলেন, 'আমার দুই সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সনদ করানো ছিল, কিন্তু সেখানে তাদের মায়ের নামে ভুল ছিল। পরে সেটি সংশোধন করি এবং গত বছরের সেপ্টেম্বরে আমার কাছে আমার দুই সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রিন্ট করা কপি হস্তান্তর করা হয়, যেটিতে সনদের দায়িত্বে থাকা আঞ্চলিক কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের স্বাক্ষরও ছিল।'
'কিন্তু কিছুদিন আগে সন্তানদের পাসপোর্ট করাতে গিয়ে ঐ ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদের নম্বর দেয়ার পর দেখি ঐ নম্বর গ্রহণ করছে না। পরে জন্ম নিবন্ধন অফিসে যোগাযোগ করলে তারা জানায় যে আমার সন্তানদের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন করাই হয়নি।'
'অর্থাৎ ডেটাবেসে তাদের জন্ম নিবন্ধনের তথ্য নেই, যদিও আমার কাছে সনদের প্রিন্ট করা কপি রয়েছে।'
সমস্যার সমাধান সম্পর্কে জানতে চাইলে উজ্জলকে বলা হয় সংশোধনের জন্য আবেদন করতে। 'অর্থাৎ সংশোধনের পুরো প্রক্রিয়াটা আবারো পুনরাবৃত্তি করার উপদেশ দেয়া হয় আমাকে।'

সনদ সংগ্রহে আরো যেসব অভিযোগ
ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে যাওয়া ব্যক্তিরা অভিযোগ করছেন সনদ সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে এমন হরেক রকম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের।
অধিকাংশই বলছেন ইউনিয়ন, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত জন্ম নিবন্ধন কার্যালয়ে গিয়ে প্রত্যাশিত সেবা তো তারা পাচ্ছেনই না, উপরন্তু পোহাতে হচ্ছে ব্যাপক দুর্ভোগ।
অনেকেই বলছেন, কার্যালয়গুলোতে উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নাগরিকদের স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা দিচ্ছেন না। সনদ সংশোধনের ক্ষেত্রেও নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগছে বলে দাবি সনদ নিতে আসা অনেকের।
মনিরুজ্জামান উজ্জল তার এলাকার জন্ম নিবন্ধন কার্যালয়ের সেবার মান নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে মন্তব্য করেন, 'আমি বেশ কয়েকবার সেখানে গিয়েছি। সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশই আবেদনকারীদের সমস্যার সমাধান দিতে পারে না। অনেক সময় কোনো তথ্য জানতে চাইলেও স্পষ্টভাবে উত্তর দেয় না।' আগে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর প্রয়োজন হলেও এই বছরের শুরু থেকে নিয়মে পরিবর্তন এনেছে সরকার। আর তারপর থেকেই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলে বলছেন আবেদনকারীরা।
এ বছরের জানুয়ারি মাসের এক তারিখ থেকে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার বাধ্যবাধকতা জারি করা হয়। তবে সার্ভার সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় শুরুতে বেশ কিছুদিন নতুন নিবন্ধন বা সংশোধনের কাজ বন্ধ ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে যান্ত্রিক ত্রুটি ছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতার, প্রক্রিয়া নিয়ে কর্মকর্তাদের স্বচ্ছ ধারণার অভাব, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ করছেন নাগরিকরা।

সনদ দেয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ
বর্তমানে যে প্রক্রিয়া চালু রয়েছে সে অনুযায়ী অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদের ফর্ম পূরণ করে অনলাইনেই তা জমা দেয়া যায়।
অনলাইনে ফর্ম জমা দেয়ার ১৫ দিন পর ফর্ম প্রিন্ট করে সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে আঞ্চলিক জন্ম নিবন্ধন অফিসে গিয়ে জমা দিতে হয়। এরপর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেসব কাগজপত্র যাচাই সাপেক্ষে কিছুদিন পর জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে থাকেন।
বয়স ভেদে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে সরকার নির্ধারিত ফি ২৫ থেকে ৫০ টাকা, আর সনদে সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় ৫০ থেকে ১০০ টাকা। এর বাইরে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে আর কোনো টাকা দিতে হয় না।
কিন্তু সনদ দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কয়েকজন ভুক্তভোগী বলছেন, যেসব আঞ্চলিক কার্যালয়ে জন্ম নিবন্ধন সনদ দেয়া হয়, সেখানে দালালদের প্রভাব ব্যাপক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুমিল্লার দাউদকান্দির এক ব্যক্তি বলেন, 'আমি যেহেতু ব্যবসা করি, তাই কাজ ফেলে বারবার নিবন্ধন কার্যালয়ে যাওয়ার সময় নেই। জুলাই মাসে একবার গিয়েছিলাম, সেবারই এক দালাল ধরি। তাকে ছয় হাজার টাকা দেই চারটি সনদ তৈরি করে দেয়ার জন্য। দুই সপ্তাহের কম সময়ে সনদ হাতে পেয়ে যাই।'
একই ধরনের অভিজ্ঞতার কথা জানা যায় নারায়ণগঞ্জের এক স্কুল শিক্ষিকার কাছে। তিনি বলেন, দালালকে টাকা দেয়ার পর ট্যাক্স পরিশোধের রশিদও - যেটি সনদ পাওয়ার জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি কাগজ- জমা দিতে হয়নি তাকে।

কর্তৃপক্ষ কী বলছে?
ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরির দায়িত্বে রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়। কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী সনদ তৈরিতে দুর্নীতির অভিযোগ একেবারে উড়িয়ে না দিলেও বলছেন ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই ধরনের দুর্নীতি হওয়ার সুযোগ খুবই কম।
ফারুকী বলেন, 'অনলাইনে ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে, তারপর নির্দিষ্ট সময় পর নির্দিষ্ট কার্যালয়ে কাগজপত্র জমা দিতে হবে। কাগজপত্র ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময় পর গিয়ে সনদ তুলতে হবে। সংশোধনের ক্ষেত্রেও অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে হবে। এই পদ্ধতিতে টাকা দিয়ে আগে সনদ পাওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে।'
তবে ফারুকী দালালদের প্রভাব ও দুর্নীতির অভিযোগকে খুব একটা গুরুত্ব না দিলেও বেশ কয়েকজন এই দাবি করেন যে দালালকে টাকা দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম ভোগান্তিতে এবং কম সময়ে তারা জন্ম নিবন্ধন সনদ পেয়েছেন।
এমনকি ফেসবুকে বেশ কয়েকটি গ্রুপ দেখা গেছে যেখানে নির্দিষ্ট ফি'র বিনিময়ে কয়েক দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করে দেয়া হয় বলে দাবি করা হয়েছে। সেসব গ্রুপের কয়েকটির বিভিন্ন পোস্টের কমেন্ট সেকশনে কয়েকজন নাগরিক দাবি করেছেন যে তারা প্রতিশ্রুতি মত সনদ পেয়েছেন। তবে তাদের সেসব দাবি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এছাড়া প্রয়োজনে মা-বাবার নিবন্ধন, যথাযথ কাগজপত্র সত্যায়ন বা সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে মানুষ যেসব সমস্যার মধ্যে পড়ছেন, সেগুলোর জন্য প্রধানত মানুষের অজ্ঞতা দায়ী বলে মনে করছেন রেজিস্ট্রার জেনারেল ফারুকী।
'আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষই এখনো অনলাইন কার্যক্রমের সাথে অভ্যস্ত নয়। কাগজ কোথায় সংযুক্ত করতে হবে, অনলাইন ফর্মে কিভাবে কি পূরণ করা হবে- সেজন্যই মূলত সমস্যাগুলো তৈরি হচ্ছে,' বলেন তিনি।
তবে সনদ সংশোধনের ক্ষেত্রে যে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লাগছে, তা স্বীকার করেন তিনি।
'সংশোধনের আবেদন ইউনিয়নের ক্ষেত্রে যায় ইউএনও'র কাছে, জেলার ক্ষেত্রে যায় জেলা প্রশাসকের কাছে। সেসব দপ্তরে স্বাভাবিকভাবে অনেক সময়ই ব্যস্ততার কারণে নির্ধারিত সময়ে সেবা দেয়া সম্ভব হয় না।'
তবে মজার বিষয় হলো, জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে এত অভিযোগ থাকলেও বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার চেয়ে জন্ম নিবন্ধন সনদের পরিমাণ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের এ বছরে প্রকাশিত হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯১ লাখ। আর রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের হিসেব অনুযায়ী এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট জন্ম নিবন্ধন সনদের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি।
রেজিস্ট্রার জেনারেল মোস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী জানান, ২০১০ সালের আগে নিবন্ধন করা অনেক জন্ম নিবন্ধন সনদ ডেটাবেসে যুক্ত করা হয়েছে। এরপর ডিজিটাল নিবন্ধন শুরু হওয়ার পর আগের নিবন্ধন করা অনেকে ডিজিটাল নিবন্ধন করেছেন, ফলে এমন অনেকেই আছেন যাদের ডেটাবেসে দুই-তিনবার নাম রয়েছে।
ফারুকী জানান, মোট নিবন্ধনের সংখ্যার এই তালিকা হালনাগাদ করার কাজ চলছে। সূত্র : বিবিসি

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (12)
সোলায়মান ৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:৫৩ পিএম says : 0
ভোগান্তি এর চেয়ে আরও অনেক বেশি
Total Reply(0)
Reza Shah Alom Mim ৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:৫৬ পিএম says : 0
দুর্নীতি নেই কোথায় ?
Total Reply(0)
Mahedi Hasan ৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:৫৬ পিএম says : 0
কি অবস্থা যদি জন্ম নিবন্ধন করতেও ঘুষ দিতে হয় তাহলে বাকি সেবা নিতে কি যে অবস্থা হবে......!
Total Reply(0)
Kamrul Hasan Aziz ৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:৫৭ পিএম says : 0
জন্ম নিবন্ধ করেই ঘুষ লাগে, তবে বড় হয়ে সে তো দুর্নীতিবাজ হবেই
Total Reply(0)
Ala Uddin Khan ৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:৫৮ পিএম says : 0
জন্মনিবন্ধনের অনলাইন করা ও সংশোধন করা নিয়ে অনিয়মের শেষ নাই,,, সার্ভেয়ার জটিলতা এ ডকমেন্ট ও ডকমেন্ট লাগবে হয়রানির শেষ নাই, এত গুরত্বপূর্ণ বিষয়ে নাগরিক হয়রানি ও তৃনমুলের জনপ্রতিনিধিদের প্রশ্নবিদ্ধ করা কি সময়চিন হচ্ছে,,,?
Total Reply(0)
Shamsu Din Khan ৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:৫৯ পিএম says : 0
বাংলাদেশে,কোন কাজে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয় না ,,এমন একটা কাজ দেখান
Total Reply(0)
Saidur Rahman ৪ নভেম্বর, ২০২১, ১:০০ পিএম says : 0
১৫ দিন যাবত গ্রামের বাড়িতে চেস্টা করেও একতিল কাজ আগাতে পারছি না,অজুহাতের শেষ নেই
Total Reply(0)
Md.Tanjeth Jcd Naogaon ৪ নভেম্বর, ২০২১, ৮:০৫ পিএম says : 0
বাংলাদেশে,কোন কাজে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয় না ,,এমন একটা কাজ দেখান
Total Reply(0)
Alomgir ৫ নভেম্বর, ২০২১, ৪:৫০ পিএম says : 0
শুভ কামনা
Total Reply(0)
Md.Shahidul Alam ৫ নভেম্বর, ২০২১, ৭:০৫ পিএম says : 0
Nid,জন্মনিবন্ধন এগুলো নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলছে ।শিক্ষার্থীরা ইউনিক আই ডি ফরম পূরণ করতে গিয়ে অনেক সমাস্যায় পড়ছে। শিক্ষার্থীরা তাদের পিতা/মাতার তথ্য nid অনুসারে লিখতে হচ্ছে।কিন্তু অনেকের nid ভুল।শিক্ষার্থীদের অন্যান্য ডকুমেন্টস ঠিক থাকলেও nid অনুসারে পিতা/মাতার নাম লিখতে গিয়ে অনিচ্ছাসত্ত্বেও ভুল তথ্য দিতে হচ্ছে।এছাড়াও ২০০৮ সালে যখন প্রথম nid করেছিল, তখন সাধারণ মানুষ এটার গুরুত্ব বুঝেনি।তাই বেশিরভাগ মানুষের nid এখনো ভুল রয়েছে। একই পিতা/মাতার একাধিক সন্তানের নামে পিতা/মাতার নামের মিল নেই।জন্মনিবন্ধন,পার্সপোর্ট, জায়গার দলিল সহ বিভিন্ন ডকুমেন্টস করতে গিয়ে প্রতিদিনই মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছে।এই ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিগণ এবং সরকারি সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো অত্যন্ত আন্তরিক হলেও আইনগত কারণে কোন সমাধান দিতে পারছেনা।কিছু সচেতন এবং শিক্ষিত মানুষ বিভিন্ন ডকুমেন্টস প্রদর্শন করে nid সংশোধন করলেও বেশিরভাগ মানুষ সংশোধন করতে পারছেনা।আমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আই,ডি,জন্মনিবন্ধন, ৮ম ও ৯ম শ্রেণির রেজিঃ করতে গিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের অনেক সমাস্যা নিজেই face করছি।আমার পক্ষ থেকে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ পিতা-মাতা,ভাই- বোন পরিবারের সকল সদস্যদের তথ্যগুলো সঠিকভাবে সংগ্রহ করে প্রত্যেকের nid পুনরায় হালনাগাদ করার জন্য সরকারিভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংশোধন করা প্রয়োজন। তারপর এই সংশোধিত আই,ডি গুলো দিয়ে পার্সপোর্ট, সার্টিফিকেট, জন্মসনদ,জায়গার দলিল সহ সকল ডকুমেন্ট সংশোধনের সুযোগ দেওয়া উচিত।অন্যাথায় ভবিষ্যতে এই ভুলগুলো আরো বাড়তে পারে এবং সাধারণ নাগরিকগণ হয়রানি হতে পারে।এটা যার যার অবস্থান থেকে প্রচার করলে হয়তো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসবে এবং সহজে সমস্যাগুলো সমাধান করা যাবে।
Total Reply(0)
DIBOS MOJUMDER ৫ নভেম্বর, ২০২১, ৮:৪৪ পিএম says : 0
Aimar baba mara gese ...mar id cade ase oi khetre ki aime mar id dea jormu-nibondun online korte parbo ki
Total Reply(0)
Md Ashraf ৫ নভেম্বর, ২০২১, ৮:৪৫ পিএম says : 0
কলেজ পড়ুয়া ছেলের জন্ম নিবন্ধনে নামে ইউনিয়ন পরিষদ ভুল করেছে,আর তা সংসুধন করতে বিড়ম্বনায় আমরা।সার্ভার নষ্ট কাজ করছেনা অজুহাতে দীর্ঘায়ীত হচ্ছে অপেক্ষার পালা।আমার মত শত শত মানুষ বিড়ম্বনার স্বীকার।চিত্রটি সিলেট ৪ নং খাদিমপাড়া ইউনিয়নের।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন