ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময় জলোচ্ছ্বাসের প্রভাবে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে এখনো জোয়ার-ভাটায় ভাসছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বন্যতলা গ্রাম। জোয়ার-ভাটার প্রভাবে ১৫ দিন আগে বসবাসের ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় বন্যতলার ইয়াকুব আলীর। সেই থেকেই থাকার জায়গা না পেয়ে জীবিকার অবলম্বন মাছ ধরার নৌকায় সাত সদস্যের পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তিনি। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার নৌকাতেই একটি ফুটফুটে সন্তান জন্ম দেন ইয়াকুব আলীর স্ত্রী মিনারা খাতুন। শ^শুর বাড়িও একই গ্রামে হওয়ায় সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারেননি ইয়াকুব আলী। তাই নৌকাতেই পৃথিবীর মুখ দেখলো নবজাতক। ইয়াকুব আলী জানান, মা-ছেলে দু’জনই, সুস্থ আছে। ছেলের নাম রেখেছেন ওমর ফারুক।
তিনি আরো বলেন, জীবিকার উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন নৌকাতেই এখন বাস করতে হচ্ছে, মাছ ধরতে পারছি না। ফলে পরিবারে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। সন্তান আর তার মাকে যে কোনো ঘরে রাখবো, তারও কোনো ব্যবস্থা নেই। আগে দরকার মাথা গোজার একটা জায়গা। টেনশনে আছি খাবাবো কি, আর রাখবো কনে?
স্থানীয় বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ জানান, আল্লাহ সহায় ছিলেন বলে নরমল ডেলিভারিতে সন্তান হয়েছে। তা না হলে, দুর্ঘটনা ঘটার প্রবল ঝুঁকি ছিল। বর্তমানে পরিবারটি মানবেতর জীবনযাপন করছে। খাদ্য ও বাসস্থান প্রয়োজন এখুনি।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও ইয়াসের পর এখনো জোয়ার ভাটার সাথে সংগ্রাম করে বসবাস করছে উপকূলের মানুষ। অনেকইে বাড়ি ঘর ছাড়িয়ে এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন