ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের নেকজানপুন গ্রামে এ এই ভয়াবহ সহিংস ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের নেকজানপুর গ্রামের পটু মিয়ার ছেলে আমির হোসেন, আবদুল জলিলের ছেলে আশরাফুল ও আবদুল মনু মিয়ার মেয়ে খুশী বেগম। তারা সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দীপুর সমর্থক।
পুলিশ জানায়, আগামী ইউপি নির্বাচনে আলোকবালি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু। একইসঙ্গে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদউল্লাহ। এদের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন পান বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন অ্যাডভোকেট আসাদউল্লাহ। সবশেষ দলীয় চাপে গত মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপুকে সমর্থন জানিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন আসাদুল্লাহ। ওইদিনই কথা কাটাকাটির জের ধরে উভয়পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে উভয়পক্ষের পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
ওই দ্বন্দ্বের জেরেই গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আসাদউল্লাহর সমর্থকরা দীপু সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। পরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দীপুর সমর্থক আমির হোসেন, আশরাফুল ও খুশী বেগম নিহত হন। ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, ইউপি নির্বাচন নিয়ে আগে থেকেই দুইপক্ষের দ্ব›দ্ব ছিল। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন