সরকার কর্তৃক গন পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি করায় বাস মালিক সমিতি তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে রোববার সন্ধায় যাত্রীবাহী গন পরিবহন ছেড়েছে। কিন্ত ডিজেলের মূল্য পুনঃবিবেচনা সহ ৩ দফা দাবীতে কর্মরিরতি পালন করায় বেনাপোল থেকে সকল ধরনের পন্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে লোড আনলোড প্রক্রিয়া সহ আমদানী রফতানী কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলছে। বন্দর থেকে মালামাল খালাশ বন্ধ থাকায় বন্দরে সৃস্টি হয়েছে ভয়াবহ ট্রাকজট ও পন্যজট। দেশের বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা সহ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজের কাচামাল খালাশ না হওয়ায় বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে এসব প্রতিষ্ঠনে।
জেলা বাস মালিক সমিতির সেক্রেটারী বাবলুর রহমান জানান, কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। সরকারের সাথে কেন্দ্রীয় বাস মালিক সমিতির আলোচনা হয়েছে। আলোচনা ফল প্রসু হওয়ায় আমাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার সন্ধা থেকেই সারা দেশে যাত্রীবাহী গন পরিবহন চলাচল শুরু করেছে। তবে দু দেশের মধ্যে আমদানি রফতানি বানিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল ট্রান্সপোটর্ মালিক সমিতির কেক্রেটারী আজিম উদ্দিন গাজি জানান। আমাদের ঢাকাস্থ ট্রাক, ট্রাক লরি ওনার্স এসোসিয়েশন আমাদেরকে জানিয়েছেন ডিজেলের মূল্য পূর্নবিবেচনা সহ ৩ দফা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্তÍ কোন পন্যবাহী ট্রাক রাস্তায় চলবে না। আমরা সে অনুয়ায়ী শুক্রবার থেকে কর্মবিরতী পালন করছি। বেনাপোল বন্দর থেকে পন্য লোড হচ্ছে। তবে ফেডারেশন থেকে কোন নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কোন পন্যবাহী ট্রাক বন্দর ছেড়ে যাবে না। ৩ দফা দাবী হলো, ১.জালানি তেলের লিটার প্রতি যে ১৫ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে তা পুর্নবিবেচনা করা। ২. যমুনা ও মুক্তাপুর সেতুর বর্ধিত টোল প্রত্যাহার। ৩.দেশের সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা গুলো পন্য পরিবহন থেকে যে টোল নেয় তা বন্ধ করা।
বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি পরিচালক মামুন তরফদার জানান, পন্যবাহী ট্রাক ধর্মঘটের কারনে বেনাপোল বন্দর থেকে কোন মালামাল খালাশ হয়নি বা পন্যবাহী ট্রাক ছেড়ে যাচ্ছে না। বন্দরে লোড আনলোড প্রক্রিয়া সহ আমদানী রফতানী কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন