শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

জ্বালানি তেলের মূল্য ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি সরকারের সাজানো খেলা: মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০২১, ৬:১০ পিএম

জ্বালানি তেলের মূল্য এবং পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি সরকারের সাজানো খেলা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই সরকার পকেট কাটা সরকার। যাদেরকে লোকে সবাই বলে পকেট মার। দিনে রাতে পকেট কাটছে। এই পকেট মার সরকার জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে পকেট কাটছে। এখন পকেট কাটছে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে দিয়ে। দ্বিতীয়বার জনগণের পকেট কাটলো বাস ভাড়া বাড়িয়ে দিয়ে। এসব তাদের পাতানো খেলা, সাজানো খেলা।

সোমবার ডিজেল ও কেরোসিনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের সারপ্লাস ৪৩ হাজার কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে। বিগত সময়ে যখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে গিয়েছিলো তখন এই পেট্রোলিয়াম করপোরেশন দাম কমায়নি। উচ্চ দামেই তারা জনগণের পকেট কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আজকে যখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়তে শুরু করেছে ওই সংস্থার লোকেরা বলছে যে, আরো কমপক্ষে ৬ মাস তারা দাম না বাড়িয়েই চলতে পারতো। কিন্তু সেটা তারা করেনি। কেনো? এই সরকারের চরিত্রই হচ্ছে লুটপাট। তারা একদিকে অর্থনীতিকে লুট করছে, জনগণের পকেট কাটছে আর নিজেদের পকেট ভারী করছে। এভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা তারা পাচার করেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী যারা দায়িত্বে আছেন, সড়ক পরিবহনের অথবা জ্বালানির তারা একবারও জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করে না। যার ফলে এই অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ফলে পরিবহনের ভাড়া ইতোমধ্যে বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে চাল-ডাল-তেল-লবণ-সবজীর দামও অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাবে।

মানুষ গরীব থেকে আরো গরীব হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। করোনা শুরুতে দরিদ্র ছিল ২ কোটি। এখন ৩ কোটি ৪৮ লাখ। প্রতিদিন এটি বাড়ছে। এদিকে তাদের (সরকার) কোনো খেয়াল নাই। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে উন্নয়ন দিচ্ছে। এমন উন্নয়ন দিচ্ছে আমরা নাকি দেখতে পাই না। অন্যদিকে গরিব মানুষ আরও গরিব হচ্ছে। সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে না পেরে শিশুসহ মা-বাবার আত্মহত্যা অথবা সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা করছে।

ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরফত আলী সপু, মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, হেলেন জেরিন খান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আমিরুজ্জামান শিমুল, অঙ্গসংগঠনের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ফজলুল রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ দুই মহানগরের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন