বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শিগগিরই স্কুলে গিয়ে কার্যক্রম

টিকা কেনা হয়েছে ২১ কোটি ডোজ : গোলটেবিল আলোচনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০২১, ১২:১২ এএম

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিশ্ব থেকে ২১ কোটি ডোজ করোনার ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১১ কোটি ডোজ হাতে এসে পৌঁছেছে। এ মাসেই আরো প্রায় ৪ কোটি ডোজ চলে আসবে। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরে নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম (এনসিডিসি) এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি (বাডাস) বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘ডায়াবেটিস চিকিৎসা: বর্তমান ও আগামীর ভাবনা’ বিষয়ে গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, প্রায় ৮ কোটি ডোজ ভ্যক্সিন মানুষকে দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫ কোটি মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে। ৪ কোটি মানুষ ডাবল ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকেও নিয়িমিত ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। ফাইজারের ভ্যাকসিন ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রার নিচে রাখতে হয়। এজন্য সব স্কুলে ফাইজার ভ্যাকসিন রাখতে না পারায় কেন্দ্র সংখ্যা তাপমাত্রা কেন্দ্র সামনের মাসগুলিতে প্রতি মাসে ৩-৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন মানুষকে দেয়া হবে।

শিগগিরই স্কুলে গিয়ে টিকা প্রদান করা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, খুব দ্রæতই স্কুলে গিয়ে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, স্কুলে গিয়ে তাড়াতাড়ি টিকাদান কর্মসূচি চালু করবো। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে তালিকা চেয়েছি। তালিকা হাতে পাওয়ার পরপরই প্রস্তুতি নিতে বলে দিয়েছি। সেটা পেলেই আমাদের টিম গিয়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বলেন, আমাদের আটটি জায়গা দেওয়া হয়েছিল, যেখান থেকে ফাইজারের টিকা দিতে হবে। সেটা সব জায়গায় দেওয়া যায় না। কারণ, এক্ষেত্রে বিশেষ পরিবেশের দরকার হয়। যেখানে সেই ব্যবস্থা আছে, সেখানেই আমরা আপাতত দিচ্ছি। আমরা দেখলাম, যেসব কেন্দ্র করেছি সেখানে শিক্ষার্থীরা যেতে পারছে না। কারণ, যেখানে কেন্দ্র হয়েছে সেখানে আশপাশে আরও চার পাঁচটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের এলেও দেখা যাচ্ছে একটু দেরি হয়ে যাচ্ছে। এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঢাকার যে স্কুলগুলোতে টিকা দেবো, প্ল্যান করেছি, সেখানে গিয়ে আমাদের টিম টিকা দেবে। তাতে টিকাদান বেগবান হবে, আমরা যেভাবে দিতে চাচ্ছি সেভাবে দিতে পারবো। সেক্ষেত্রে জটলা কমে যাবে। কোন স্কুলে আমরা কবে যাবো সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা দেবে, সেই তালিকা অনুযায়ী আমরা স্কুলে গিয়ে টিকা দিয়ে, সেখানে শেষ করে অন্য স্কুলে যাবো।

তিনি বলেন, নন কমিউনিকেবল ডিজিসের কারণে দেশের অন্তত ৬১ ভাগ মানুষ কোনো না কোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। নন কমিউনিকেবল অন্যান্য রোগের মধ্যে ডায়াবেটিস রোগ অন্যতম। ডায়াবেটিস রোগটি নিরবে শরীরে চলে আসে। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের পাশাপাশি শহরের মানুষজনও অনেকেই স্বাস্থ্য সচেতনতা বা ডায়াবেটিস নিয়ে তেমন একটা সচেতন নয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, একটি জরিপ থেকে জানা গেছে, দেশের মাত্র ১২ ভাগ মানুষের ডায়াবেটিস এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আবার অনেক মানুষই চিকিৎসার টাকার অভাবে ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে যাননা। এ বিষয়ে সবার জানা প্রয়োজন, শহর বা গ্রামের প্রতিটি হাসপাতাল থেকেই এখন বিনামূল্যে ডায়াবেটিস রোগের প্রায় সকল ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি খুব দ্রæতই ডায়াবেটিস রোগের জন্য ব্যয়বহুল চিকিৎসা সামগ্রী ইনসুলিনও বিনামূল্যে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি (বাডাস) এর সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান। সভায় ডায়াবেটিস হলে তার জন্য করনীয়, চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস হবার আগেই লাইফস্টাইল পরিবর্তনসহ জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধি করা নিয়ে সভায় উপস্থিত আরো যারা বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আহমেদুল কবীর, বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির মহাসচিব সায়েফ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফয়েজ উদ্দিনসহ অন্যান্য চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন