বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

৩১৮ কোটি টাকা আত্মসাতে আরো ৭ মামলা করছে দুদক

আসামি পি কে হালদারের ২৯ স্বজন-সহযোগী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লি:’ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আরো ৭ মামলা দায়ের করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার কমিশন মামলাগুলোর অনুমোদন দেয়। যেকোনো দিন দায়ের হবে এসব মামলা। মামলায় ২৯ জনকে আসামি করা হবে। এর মধ্যে ‘জি অ্যান্ড জি এন্টারপ্রাইজ’ এবং ‘তামিম অ্যান্ড তালহা ব্রাদার্স লি:’ নামক কাগুজে প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ৩০ কোটি করে মোট ৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলাটি করবেন উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। ‘গ্রীণলাইন ডেভেলমেন্ট লি:’র এর বিরুদ্ধে ৬০ কোটি টাকার মামলার বাদী হচ্ছেন উপ-সহকারী পরিচালক মোছা: আফনান জান্নাত কেয়া। ‘এমটিবি মেরিন লি:’র নামক কাগুজে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৬০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং ‘পি অ্যান্ড এল ইন্টারন্যাশনাল লি:’র বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলাটি করবেন উপ-সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান। প্রতিষ্ঠানটির তৎকালিন চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, সাবেক এমডি মো: রাশেদুল হক, ৯ জন বোর্ড মেম্বার, পি কে হালদারের আত্মীয়-স্বজনরা রয়েছেন আসামির তালিকায়। এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ৩শ’ ১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং পাচারের অভিযোগ আনা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত: ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। এখন চার্জশিটে আসামির সংখ্যা আরো যুক্ত হয়েছে। এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন।

এছাড়া গত ১০ নভেম্বর ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় দুদক। অনুমোদিত চার্জশিটে বলা হয়, পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারী, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, পি কে হালদারের সহোদর প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ৩ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতায় এ পর্যন্ত ৮৩ ব্যক্তির অন্তত ৩ হাজার কোটি টাকার সম্পদ আদালতের অনুমোদন নিয়ে দুদক জব্দ করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন