শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

তিন্নির মেয়ে এখন তরুণি, মা পাকিস্তানে বাবা একাকি থাকেন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ২:০৩ পিএম

মডেল তিনি হত্যার পর দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। সে সময় সবার দাবি ছিল দ্রুত সময়ের মধ্যে খুনিদের বিচারের। কিন্তু সেই বিচার ১৯ বছরেও শেষ হয়নি।

জানা যায়, নব্বই দশকের আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি। ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে তার লাশ পড়েছিল। তিন্নি হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি বরিশাল-২ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি। ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে। অভির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য সোমবার (১৫ নভেম্বর) দিন ধার্য ছিল। ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায়চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করার কথা থাকলেও সেটি হয়নি।

জানা যায়, এদিন মামলার বাদী নিহত তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুবুল করিম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম তাদের জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন। এই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ভোলা নাথ দত্ত ও মো. সলিম উল্লাহ (খসরু) এ তথ্য জানান।

এই হত্যাকাণ্ড মডেল তিন্নির পুরো পরিবারকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। সে সময় তিন্নি ছিলেন এক কন্যাসন্তানের জননী। তার মেয়ের বয়স ছিল দেড় বছর। সে হিসেবে বর্তমানে মেয়েটির বয়স ২০ বছর। মায়ের মৃত্যুর ১৯ বছর পর সেই মেয়ে এখন কোথায়? কার সঙ্গেই বা থাকছেন তিন্নির মা-বাবা?

জানা গেছে, মডেল তিন্নির একমাত্র মেয়ে এখন বাবার সঙ্গে বিদেশে থাকেন। তিন্নিরা ছিলেন দুই বোন, ছোট বোন এয়ার হোস্টেস। তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান কর্মজীবন প্রবাসে কাটালেও এখন দেশে একা থাকেন। তিন্নির মা স্বামীকে ছেড়ে পাকিস্তান চলে গেছেন।

এদিকে কলাবাগানে ফুফুর যে বাড়িতে তিন্নিরা থাকতেন, অভির (তিন্নি হত্যার আসামি) ভয়ে বাড়িটি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয় পরিবারটি। এভাবেই একটি খুনের কারণে তছনছ হয়ে যায় সাজানো পরিবার।

২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে মডেল তিন্নির লাশ পাওয়া গেলেও প্রথমে সেটি শনাক্ত করা যায়নি। পরদিন (১১ নভেম্বর) নাম না জানা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন। এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার।

পরবর্তীতে লাশটি তিন্নির শনাক্ত হলে মামলাটি চাঞ্চল্যকর উল্লেখ করে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ ও এএসপি মোজাম্মেল হক। সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

তিন্নি হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামি ১৫ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। গত মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায়চৌধুরী এ তারিখ নির্ধারণ করেন।

এই মামলায় পুলিশি তদন্তে প্রাথমিকভাবে জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ গোলাম ফারুক অভি অভিযুক্ত হলেও পুলিশ তাকে আটক করতে পারেনি। অভির অনুপস্থিতিতেই ২০১০ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তিন্নি হত্যা ও লাশ গুম-সংক্রান্ত মামলায় অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। তিন্নি হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে ৪১ জনকে সাক্ষী করা হয়। এ ছাড়াও এই মামলায় ২২টি আলামত জব্দ করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
পলাশ ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ৪:২৮ পিএম says : 0
দ্রুত বিচার করা হোক
Total Reply(0)
চৌধুরী হারুন আর রশিদ ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ৪:২৯ পিএম says : 0
অপরাধীরা মারা গেলে তারপরে কি বিচার শেষ হবে?
Total Reply(0)
বুলবুল আহমেদ ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ৪:৩১ পিএম says : 0
আরও কত বছর লাগবে তা আল্লাহই ভালো জানেন
Total Reply(0)
ইকবাল শেখ ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ৪:৩১ পিএম says : 0
মেয়ে কি বিচারের রায় দেখে যেতে পারবে ?
Total Reply(0)
জুয়েল ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ৪:৩২ পিএম says : 0
এই হত্যাকাণ্ড মডেল তিন্নির পুরো পরিবারকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে।
Total Reply(0)
শাহ্‌ ১৯ নভেম্বর, ২০২১, ৫:৫৩ এএম says : 0
আপনারা আংশিক খবর দেন কেন ? " গোলাম ফারুক অভি ধরাছোঁয়ার বাইরে " সে কি বাংলাদেশে না বিদেশে নাকি পলাতক ?
Total Reply(1)
h Hossain ২১ নভেম্বর, ২০২১, ১২:৩১ পিএম says : 0
অভির এ জীবনে শাস্তি হবে কিনা সন্দেহ জনক?

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন