প্রাইমারি স্কুল শিক্ষকদের যোগদানের তারিখ থেকে ‘চাকরিকাল’ গণনায় রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া উপজেলায় বদলি হওয়া বিদ্যালয়ে যোগদানের তারিখ থেকে চাকরিকাল গণনায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মেও রুল জারি করা হয়েছে। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গতকাল সোমবার এ রুল জারি করেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, রুলের পাশাপাশি রিটকারীদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম যোগদানের তারিখ থেকে চাকরিকাল গণনা করে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির জন্য তৈরি করা গ্রেডেশন তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না- জানতে চেয়েছেন আদালত। বিবাদীদেরকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর স¤প্রতি সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দিতে সিনিয়রিটির তালিকা (গ্রেডেশন লিস্ট) চূড়ান্তকরণের কাজ হাতে নিয়েছে। শিক্ষকদের গত মাস থেকে অনলাইনে একটি ফরম পূরণ করতে হচ্ছে। সেখানে ‘আপনি বহিরাগত শিক্ষক কি না, কবে এ উপজেলা/থানায় যোগ দিয়েছেন’- এমন প্রশ্ন রাখা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগ হয় উপজেলা ভিত্তিক। নিজ উপজেলার বাইরে বদলি হয়ে গেলে নতুন কর্মস্থলে ওই শিক্ষককে ‘বহিরাগত শিক্ষক’ বলছে প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন। প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির প্রশ্নে সারা দেশে সহকারী শিক্ষকরা ‘বহিরাগত’ ও ‘স্থানীয়’- এ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। অর্থাৎ বদলি হওয়া শিক্ষকদের সর্বশেষ যোগদানের তারিখ থেকে চাকরিকাল গণনা করা হচ্ছে। কিন্তু ২০১৯ সালের নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন নীতিমালায় কোথাও বলা নেই যে বদলি হলে আগের অভিজ্ঞতা গণনা করা হবে না। এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করেছেন সহকারী শিক্ষক মোছা. সুলতানা রাজিয়া, মোছা. সাবিকুন নাহার, আবিদা সুলতানা, মিনি রানী বিশ্বাস, খন্দকার মোফাজ্জল হোসেন, নাছিমা আক্তার, তুহিন আক্তার, অজান্তি রায়, সঞ্চিতা তালুকদার ও নূরুন নাহারসহ ৩৭ সহকারী শিক্ষক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন