ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে বিদেশি সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি শুধুমাত্র এ অঞ্চলের নিরাপত্তাহীনতা এবং উত্তেজনা বাড়িয়ে চলেছে। বিদেশি উপস্থিতির বিপরীতে ইরান মনে করে এ অঞ্চলের দেশগুলো তাদের নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে সক্ষম।
ইরান সফররত তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লুর সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন প্রেসিডেন্ট রায়িসি। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশেষ করে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে প্রেসিডেন্ট রায়িসি জোর দিয়ে বলেন, এ অঞ্চলে বিদেশি উপস্থিতি কোনো ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনছে না বরং আঞ্চলিক সরকারগুলোর মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা এবং উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে। এ সময় তিনি আফগান প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, দেশটিতে ২০ বছর ধরে মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে কিন্তু সেখানে তারা হত্যাযজ্ঞ এবং রক্তপাত ছাড়া আর কিছু দিতে পারে নি। এর মধ্যদিয়ে এ কথা পরিষ্কার হয়েছে যে, আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আফগানিস্তানের সমস্যা সে দেশের জনগণই সমাধান করবে।
প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ তৈরির কথা স্বীকার করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা এবং স্বাভাবিকভাবেই এই সন্ত্রাসীগোষ্ঠী মার্কিনিদের নির্দেশে সমস্ত অপরাধযজ্ঞ ও রক্তপাত ঘটায়। তারা মূলত আমেরিকার হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে প্রক্সি যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ইরানের প্রেসিডেন্ট দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ইরান এবং তুরস্কের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই সম্পর্ক এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া উচিত যা আন্তর্জাতিক সমীকরণের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম।
বৈঠকে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরানের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন জোরদারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে আঙ্কারা। তুরস্ক বিশ্বাস করে ইরানের নতুন প্রশাসন ফলাফল-কেন্দ্রিক প্রশাসন। তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক আরো বাড়ানোর ব্যাপারে আঙ্কারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সূত্র: পার্সটুডে
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন