বাংলা সালের অগ্রহায়ণ মাসের ১ম দিন পহেলা অগ্রহায়ণ নবান্ন ঊৎসবের দিন ছিল গতকাল। এই দিনকে ঘিরে পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরসহ এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে প্রতি বছর নবান্ন উৎসব পালন করা হয়। এবার দেশে মহামারি করোনা কমলেও তেল, চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে হাটে-বাজারে দোকানে প্রভাব পড়েছে।
গত কয়েকদিন আগে হাট-বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম দেখা গেলেও নবান্নকে ঘিরে এলাকায় উৎসবের আমেজ দেখা দিয়েছে। যুগ যুগ ধরে চলে আসা আনন্দের এ দিনটি পালনে এবারও কোন ব্যতিক্রম দেখ যায়নি। দিনটি উপলক্ষে এলাকার কৃষকরা মৌসুমের আগাম জাতের নতুন ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। পাশাপাশি পাড়া মহল্লায় গরু মহিষ খাসি জবাই করে ভাগাভাগি করে নিয়ে নতুন ধানের চাল দিয়ে পিঠাপুলি পায়েশ-পোলাও এবং নতুন চালের আটা, গুড় ও কলা দিয়ে শিন্নি তৈরি করে আত্মীয়স্বজন পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে খাবার ধুম পড়েছে গ্রামে গ্রামে। নবান্ন ছাড়া এই উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার অনেক কৃষক নতুন চালের ভাত খান না। এর মধ্যে যেসব কৃষকের ধান পাকতে দেরী হলে তারা পরে নবান্ন করেন। আবার অনেকে স্থানীয় মসজিদে পোলাও পায়েশ দেয়ার পর নতুন চালের ভাত খান।
উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন চাপাপু, কুন্দুগ্রাম, নশরৎপুর, সান্তাহার, উপজেলা সদর ছাতিায়নগ্রমসহ সান্তাহার পৌর এলাকার হাটে বাজারে গরু-খাসি জবাই করা হয়। এরমধ্যে ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের, শালগ্রাম, কোমারপুর, কালাইকুড়ি, কাল্লাগাড়ী, সাগরপুর, নিমাই দীঘি, বাগবাড়ি, অন্তাহার, দুর্গপুর পোওতা বশিপুরগ্রামে নবান্ন উৎসব চলে তিন-চার দিন ধরে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন