ভয়াবহ বন্যার কারণে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া (বিসি) প্রদেশে। বুধবার (১৭ নভেম্বর) সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন প্রাদেশিক প্রধান জন হরগান। এর আগে কানাডা সরকার জানায়, তারা ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে বিমানবাহিনী পাঠাচ্ছে।
বুধবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার বড় ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রবল বৃষ্টি ও ভূমিধ্বসে বহু সড়ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পার্বত্য অঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি ছোট শহর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। কর্তৃপক্ষ একজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করলেও সংখ্যাটি আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
কানাডার জননিরাপত্তা মন্ত্রী মাখোঁ মেনদিচিনো জানিয়েছেন, প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলের এ প্রদেশটিতে প্রায় ১৮ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী জন হোরগ্যান বলেছেন, “আসছে দিনগুলোতে আরও প্রাণহানির কথা নিশ্চিত করতে হবে বলে ধারণা করছি আমরা।”
প্রাকৃতিক এ দুর্যোগকে ‘৫০০ বছরের মধ্যে একবার ঘটা’ ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
এরই মধ্যে বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন বিসির বাসিন্দারা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ভ্যানকুভারে। বন্যার পানিতে ডুবে গেছে নগরীর রাস্তাঘাট। যোগাযোগ ও বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বেশ কয়েকটি এলাকায়। ফুরিয়ে আসছে খাবারের মজুত।
কানাডার জননিরাপত্তা মন্ত্রী বিল ব্লেয়ার জানিয়েছেন, দুর্গতদের উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে সামরিক বাহিনী। ভ্যানকুভারের পূর্বে আগাসিজ নগরীর কাছে ভূমিধসের কারণে একটি মহাসড়কে আটকেপড়া তিন শতাধিক ব্যক্তিকে হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করা হয়েছে।
কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, প্রবল বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা জীবনযাত্রা ব্যাহত করছে, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় মানুষের প্রাণ কেড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্র: আল জাজিরা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন