শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সৈয়দপুরে মাজার ও মন্দির নির্মাণ কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : আহত ১০

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

নীলফামারীর সৈয়দপুরের বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে মাজার ও মন্দির নির্মাণকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ওই ইউনিয়নের চান্দিয়ার ডাঙ্গা এলাকায়। খবর পেয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী জানায়, ঘটনাস্থলের একটি চায়ের দোকানে ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য রবিউল ইসলামের সাথে প্রতিবেশী হিন্দু সম্প্রদায়ের যুবক স্বপন সরকারের সাথে মন্দির ও মাজার নির্মাণকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। কথা বলার এক পর্যায়ে ইউপি সদস্যের সাথে খাদেমুল ইসলাম (৩০) ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতি। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত গ্রামবাসী মন্দিরের টিউবওয়েলটি উপরে ফেলেন। তা নিয়ে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া। এতে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন। আহতরা হলেন বেপুলা রানী, ছায়া রানী, স্বপন সরকার, সুধীর সরকার, সুরেশ সরকার, লিটন, আলমগীর। এরমধ্যে গুরুতর আহত ২ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ৫ জনকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌধ্য খ্রিষ্টাান ঐক্য পরিষদ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক যোগেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ওই মন্দিরের পাশের বাসিন্দা খাদেমুল ইসলাম গত ১৮ আগষ্ট গভীর রাতে মন্দিরের সামনে একটি মাজার স্থাপন করেন। এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে সৈয়দপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রমথ চন্দ্র রায়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করা হলে তারা ওই মাজার উচ্ছেদের আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে দুর্গাপূজায় দেশব্যাপী অনাকাঙ্খিত ঘটনার কারণে বিষয়টি স্থগিত থাকে। এরই জের ধরে এ ঘটনাটি ঘটতে পারে।
জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এখন সেখানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম হুসাইন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সামনে ইউপি নির্বাচন আসছে। বিষয়টি ভোট কেন্দ্রীক হতে পারে। কেউ কেউ ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে এ থেকে। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। এ ব্যাপারে পুলিশকে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন