শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

স্কুলে গিয়ে টিকা দেয়া হবে শিক্ষার্থীদের

আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশের স্কুলে-স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ ২০২১’ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা এতদিন চার-পাঁচটি স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে একটি স্কুলের মাধ্যমে টিকা দিয়েছি। এক্ষেত্রে আমরা দেখছি যে, নিবন্ধনসহ নানা বিষয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। তাই আমরা সারাদেশের প্রতিটি স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ইতোমধ্যে ৯ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রী অটোমেটেড ড্রাগ লাইসেন্সিং ও রিনিউয়াল সিস্টেমের উদ্বোধন করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অনিয়মিতভাবে ও যত্রতত্রভাবে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ, হাস-মুরগির ফার্ম বা মাছের ফার্মে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার, গবাদি পশুর খাদ্যে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগসহ নানাভাবে আমাদের দেহে চিকিৎসার অতিগুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স দেখা যাচ্ছে যা অত্যন্ত এলার্মিং। কিছু অসাধু ফার্মেসি বা ওষুধ কোম্পানি এগুলো উপযুক্ত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই মানুষকে গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করছে। এটি একটি অপরাধমূলক কাজ।
জাহিদ মালেক বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা বেশকিছু ফার্মেসি ও ওষুধ কোম্পানি বন্ধ করে দিয়েছি। আগামীতেও এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি রাখা হবে। নকল ওষুধ বিক্রি বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে সেক্ষেত্রে সেই প্রতিষ্ঠান দোষী হিসেবে চিহ্নিত হবে ও শাস্তি ভোগ করবে। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব মানুষের জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত দেশের জন্য ২১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ কোটি ডোজ ইতোমধ্যেই দেয়া হয়েছে। হাতে ২ কোটির বেশি ভ্যাকসিন আছে। দেশের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বস্তিবাসীদেরও ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এসব কারণে দেশ এখন নিরাপদ আছে। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল আছে, স্কুল-কলেজ খোলা রয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক অবস্থায় চলে এসেছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব আলি নুর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি বারডান জাং রানা, বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ১৯ নভেম্বর, ২০২১, ১:১৭ এএম says : 0
এই পদক্ষেপ নিতে আমি দুই মাস আগে আবেন করেছিলাম,যাক মন্ত্রী যে পদক্ষেপ নিয়েছেন ভালো আরো আগে এই পদক্ষেপ নিলে এতদিন টিকার কাজ সমাধান হয়ে যেত।
Total Reply(0)
shanto ১৯ নভেম্বর, ২০২১, ১:০০ পিএম says : 0
অসংখ্য রকম মিথ্যা প্রতারণা ভন্ডামিপূর্ণ নাটক মিথ্যা ভাইরাস এর উপর তৈরি করে মানুষের দেহে গণহারে বিষাক্ত ভ্যাকসিন দেয়ার ফলে পৃথিবীতে হাজার হাজার লোক নানান ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছে আর এখন সেই মৃত্যুকে কথিত ভাইরাসের নতুন ধরনের মাধ্যমে হয়েছে বলে মিথ্যা নাটক সাজানো হচ্ছে, যাতে এই বিষাক্ত ভ্যাকসিন আরো নতুন নতুন মিথ্যা ভন্ডামি প্রতারণামূলক নাটকের মাধ্যমে মানুষকে দেয়া যায়। এই মিথ্যা ভ্যাকসিন নিঃসন্দেহে জৈব অস্ত্র মানুষকে হত্যার জন্য।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন