যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবীরা বৃহস্পতিবার ইরানের দুই হ্যাকারকে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ভুয়া তথ্য ছড়ানোর দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। তারা ভোটার, কংগ্রেস সদস্য ও একটি মিডিয়া কোম্পানিকে লক্ষ্য বানিয়েছিল বলে দাবি করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবীরা বৃহস্পতিবার ইরানের দুই হ্যাকারকে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ভুয়া তথ্য ছড়ানোর দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। তারা ভোটার, কংগ্রেস সদস্য ও একটি মিডিয়া কোম্পানিকে লক্ষ্য বানিয়েছিল বলে দাবি করা হয়। এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার অভিযোগে ঐ দুজনসহ মোট ছয় ইরানি এবং সে দেশের এক কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। অভিযুক্ত দুই হ্যাকার সাঈদ মোহাম্মদ হোসেইন মুসা কাজেমি ও সাজ্জাদ কাশিয়ান ইরানে বাস করছেন। তবে এই রায় তাদের বিদেশ ভ্রমণে বাধা তৈরি করবে বলে আশা করছেন মার্কিন আইনজীবীরা।
তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো হচ্ছে- একটি রাজ্যের নির্বাচন ওয়েবসাইট থেকে মার্কিন নির্বাচনের গোপন তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা। একটি মার্কিন মিডিয়া কোম্পানির কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে নির্বাচন সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রকাশের চেষ্টা। এফবিআই সেটা ব্যর্থ করে দেয়। কংগ্রেসের রিপাবলিকান সদস্য ও ট্রাম্পের নির্বাচন শিবিরের কর্মীদের কাছে উগ্র ডানপন্থি ‘প্রাউড বয়েজ’ গোষ্ঠীর সদস্য সেজে ফেসবুকে বার্তা দেয়া। ১১টি রাজ্যের ওয়েবসাইটে ঢুকে ভোটারদের তথ্য জানার চেষ্টা। এক লাখের বেশি ভোটারের তথ্য ডাউনলোড করে তাদের কাছে দুই দলের পক্ষ থেকে বার্তা পাঠিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা।
মার্কিন আইনজীবীরা বলছেন, হ্যাকাররা চেয়েছিলেন ভোটাররা যেনযুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনি ব্যবস্থার উপর আস্থা হারায়। সে কারণে তারা একটি ভিডিও তৈরি করেছিলেন যেখানে দেখানো হয়েছে, কীভাবে একজন হ্যাকার একটি রাজ্যের ভোটিং ওয়েবসাইটে ঢুকে অনুপস্থিত ভোটারের ভোট নিবন্ধন করছেন। এছাড়া ট্রাম্পকে ভোট না দিলে তাদের ‘দেখে নেয়ার’ হুমকি দিয়েও ইমেল পাঠানো হয়েছিল বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। সূত্র: রয়টার্স, এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন