বরগুনার বামনা থানা পুলিশ শুক্রবার (১৯নভেম্বর) সন্ধ্যায় মেশিন ও জাল টাকাসহ মা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ১০০০ টাকার তিনটি জাল নোট এবং জাল নোট তৈরীর একটি মেশিন জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন পাথরঘাটা উপজেলার চরলাঠিমারা গ্রামের সৈয়দ সুমন হোসেনের স্ত্রী মোসা. মিনারা বেগম (৪০) ও তার ছেলে মামুন (২৩)।
জানা যায়, পার্শ্ববর্তী পাথরঘাটা উপজেলার নিজ লাঠিমারা গ্রামের মামুন শুক্রবার বিকালে বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের দক্ষিন গুদিঘাটা গ্রামের চান মিয়ার মুদি মনোহরি দোকানে মালামাল কিনে ১০০০ টাকার একটি জাল নোট দেয়। দোকানদারের সন্দেহ হলে সে বামনা থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মামুনকে তল্লাশী করে ১০০০ টাকার আরো দুটি জাল নোট উদ্ধার করে। মামুনের দেওয়া তথ্য মতে তার বাড়িতে টাকা তৈরীর একটি প্রিন্টার রয়েছে। এ ঘটনা জানতে পরে বামনা থানা পুলিশ পাথরঘাটা পুলিশের সহায়তা নিয়ে পাথরঘাটা উপজেলার চরলাঠিমারা গ্রামে মামুনের বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখানে মামুনের ঘরের পাশে তার চাচা আ. খালেকের ঘর থেকে একটি অত্যাধুনিক প্রিন্টার উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সৈয়দ মামুনের চাচা আ. খালেক জানায়, মামুনের ঘটনার খবর পেয়ে তার মা মিনারা বেগম ওই প্রিন্টারটি তার ঘরে রেখে যায়। এটা কি মেশিন জানতে চাইলে মিনারা তাকে জানায় একজনের কাছে টাকা পেতো সেজন্য সে এই মেশিনটি তার কাছে রেখে গেছেন।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত মিনারা বেগম বলেন, আমার পূর্বের স্বামী আমার কাছে এই মেশিনটি তার এক বন্ধুকে নিয়ে রেখে গেছেন। এটা দিয়ে কি করে তাও আমি জানতাম না।
অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে সে তার কাছে থাকা জাল টাকা তৈরীর মেশিনের কথা স্বীকার করলে পুলিশ তার মায়ের বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার নিজ লাঠিমারা গ্রাম থেকে মেশিনসহ মামুনের মা মিনারা বেগমকে আটক করে। এ ঘটনায় বামনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বামনা থানার ওসি বশির উল আলম বলেন, মুদি দোকানদার চান মিয়ার তথ্য অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে মামুনকে জাল টাকাসহ আটক করি। মামুনকে নিয়ে তার মায়ের বাসা থেকে জাল টাকা তৈরীর মেশিন উদ্ধার করি। তাদের দুই জনকে শনিবার আদালতে প্রেরণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন